৪৬ বছরে বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য তৈরি এক পাত্রী কিন্তু বিয়ের জন্য প্রয়োজন অর্থ, সেই অর্থ জোগাড় করার জন্য এবার সাহায্য দরকার সেই সাহায্য পাওয়ার জন্য এবার আবেদনপত্র জমা দেওয়া হলো রূপশ্রী প্রকল্পে, ব্লক প্রশাসন সেই আবেদনপত্র দেখে একেবারে অবাক হয়ে গেল। রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন করার জন্য কোন বয়সের বাধা নেই তাই যে কেউই এই প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা পেতে পারে।
পুরুলিয়া জেলার সাতুরি থানা এলাকার রুপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করেছে ৪৬ বছরের পাত্রী যার ফলে সেই আবেদন পত্র নিয়ে পড়ে গেছে শোরগোল। সেই ৪৬ বছরের পাত্রীর নাম চাঁদ মনি টুডু তিনি বিয়ে করতে চলেছেন বাঁকুড়া জেলার ছাতনা এলাকার বাসিন্দা অজিত হাঁসদারের সঙ্গে, যার বয়স ৫৮।
এরকম একটি বিষয়ে অবাক হওয়ার হলেও অবাক হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই বিয়ে করার তাগিদে ৪৬ বছরের চাঁদমণি টুডু এবার দ্বারস্থ হয়েছেন ব্লক প্রশাসনের কাছে, যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে।
আরো পড়ুন: আ’জ’ব বিজ্ঞাপন, সংসার চা’লা’তে স্বামীকে ভা’ড়া দিচ্ছেন মহিলা
এই বিষয় যখন ব্লকের এক আধিকারিকের কাছে জানতে চাওয়া হয় তখন তিনি জানান, “এই রকম একটি খবরে অবাক হওয়ার কোন জায়গা নেই কারণ এই প্রকল্পের আবেদন করার জন্য কোন বয়সের মাপকাঠি নেই।
তবে দেখতে হবে যে দুজনেই অবিবাহিত কিনা তারপরে যদি তারা চান অবশ্যই তাদের সুবিধা দেওয়া হবে এ বিষয়ে”। এই বিষয়ে তদন্ত করার সময় অজিতবাবুর নারান হাঁসদা জানিয়েছেন, “এই বিয়েটি সম্বন্ধ করেই হচ্ছে, অজিতবাবুর বিয়ে হয়েছিল ১০ বছর আগে, কিন্তু তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে আলাদা হয়েছেন। পাত্র-পাত্রী উভয়েই উভয়কে ভীষণভাবে পছন্দ করেছেন যার জন্য এই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তবে অন্যদিকে চাঁদ মনির বাড়ি থেকে জানা গিয়েছে যে চাঁদ মনির আগে বিয়ে হয়নি। তবে এর রূপশ্রী প্রকল্পে চাঁদ মনির আবেদনপএ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্লকের শিক্ষা কর্মদক্ষ সুশান্ত কেওড়া, “এইরকম একটি বয়সে বিয়ে করবে কেউ সেটা আগে কখনো শোনা যায়নি, তবে আমাদের ব্লকে এটি প্রথম ভালো লাগছে যে এই পরিকল্পনাগুলো সঙ্গে সবাই যুক্ত হতে চাইছেন, তবে অবশ্যই তাদের সম্পূর্ণ বিষয়ে যাচাই করা হবে এবং তারপরেই অর্থ দেওয়া হবে।”