সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ঠাকুরের কৃপাদৃষ্টি ধ’রে রাখতে পু’জো করার সময় এই জিনিসটি ব্যবহার ক’র’তে ভুলবেন না

বাঙালির অতিপ্রিয় পানের ব্যবহার কিন্তু সেই বৈদিক যুগ থেকে চলে আসছে। বেদ থেকে শুরু করে প্রাচীন নানা সাহিত্যে উল্লেখ রয়েছে পানের। প্রাচীন অভিজাত জনগোষ্ঠীর মাঝে পান তৈরি এবং তা সুন্দরভাবে পানদানিতে সাজানো লোকজ শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি পেত। এক সময় উৎসব, পূজা ও পুণ্যাহে পান ছিল অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঐতিহ্যগতভাবে সামাজিক রীতি, ভদ্রতা এবং আচার-আচরণের অংশ হিসেবেই বাংলায় পানের ব্যবহার চলে আসছে।

বাঙালির রীতি অনুযায়ী পুজো থেকে শুরু করে যে কোনও শুভ কাজে পানের ব্যবহার খুবই মঙ্গলজনক বলে মনে করা হয়। প্রধানত দক্ষিণ এশিয়া, উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ পান খায়।জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এই পান আপনার জীবনে সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারে। এর পাশাপাশি সম্পদ বৃদ্ধি ও মানসিক শান্তি পূরণেও সাহায্য করে পান। নিজের সৌভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পুজোয় কীভাবে পানের ব্যবহার হয় চলুন তবে দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক।

একটি সবুজ কাপড়ে সুপারি, সামান্য আতপ চাল ও কাঁচি হলুদ ও পুজোর পান একসঙ্গে বেঁধে নিন। ব্যবসার স্থানে বা কর্মক্ষেত্রে এটি অন্যের চোখের আড়ালে রেখে দিন। এতে আগত প্রায় সমস্ত বাধা বিপত্তি কেটে যায়। একটি সাদা কাপড়ে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে এতে পুজোর পান, সামান্য আতপ চাল, কাঁচি হলুদ একসঙ্গে বেঁধে নিন। এটি বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে একটু উঁচুতেই ঝুলিয়ে রাখুন। তবে এমনভাবেই টাঙাতে হবে যাতে সেখানে সহজে কারও হাত না লাগে। এতে সংসারের সার্বিক উন্নতি হয় ও সংসারের সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

বৃহস্পতিবার লক্ষী দেবীর পুজোয় পান ব্যবহার করা হয়। সেই পানে সিঁদুরের ফোঁটা দিয়ে, বাড়িতে যেখানে টাকা পয়সা রাখা হয় সেই স্থানে রেখে দিতে হবে। এর ফলে মা লক্ষ্মীর কৃপা সবসময় আপনার মাথার উপর থাকবে এবং সর্বদা আর্থিক উন্নতি বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি আর্থিক সমস্যাতে যদি আপনি ভোগেন তাহলে তাও কেটে যায়। গণেশের ছবি রয়েছে এমন একটি রুপোর কয়েন ও পুজোয় ব্যবহৃত পান একসঙ্গে রেখে ভক্তিভরে সিদ্ধিদাতার পুজো করলে হাতেনাতে শুভ ফল পাওয়া যায়।