যত দিন যাচ্ছে প্রতিটা দেশেই ধর্ম নিয়ে বর্ণ নিয়ে বিদ্বেষ যেনো বেড়েই চলেছে। যেনো সময়টা আবার কয়েক দশক পিছিয়ে গেছে যেখানে ধর্ম, বর্ণ নিয়ে এত ভেদাভেদ করা হতো। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বহুদিনের সদস্য ও মার্কিন মুলুকের প্রথম হিন্দু প্রেসিডেন্ট পার্থী তুলসী গাবার্ড বাইডেন সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গুলিই আনেন। তিনি আজ ২০ বছর এই দলের সাথে যুক্ত। সেই তিনিই এবার আমেরিকার জো বাইডেন সরকারের তীব্র সমালোচনা করে দল ছাড়লেন।
তাঁর মতে, বাইডেন সরকার বর্ণ বিচার করে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি বলেন, বাইডেন সরকার অভিজাত সমাজ ও ধনী মানুষের দ্বারা পরিচালিত এমন অভিযোগও করেন তুলসী গবার্ড। তাঁর এই মন্তব্য যে শেতাঙ্গ বিরোধী প্রতিবাদ সে কথা বুঝতে কারোরই অসুবিধে হয়না। তিনি এও বলেন যে, এই সরকার যুদ্ধবাজ সরকার।
এখানে পুলিশদের অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করা হয় সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাতে। আর যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের পরোক্ষ ভাবে আশকারা দেয় এই সরকার। এতে সাধারণ মানুষ বিপন্ন। তাদের ধর্ম নিয়েও কোনো পরোয়া করতে দেখা যায়না এই দলের মানুষদের বা এই সরকারকে।
আরো পড়ুন: রাবণ দেখতে মুঘলের ম’তো, আদিপুরুষ নিয়ে প্রথম মু’খ খুললেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় “সীতা”
তিনি আরো জানান যে, এই সরকার মূলত একটা যুদ্ধবাজ, ক্ষমতাবানদের কুক্ষিগত একটি কাপুরুষ সরকার। এই সরকার যদি বেশিদিন থাকে তাহলে একটা পরমাণু যুদ্ধের সন্মুখীন হবে গোটা আমেরিকা। একটি আধ ঘণ্টার দীর্ঘ ভিডিওতে বাইডেন সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
এই তুলসী গাবার্ড বরাবরই স্পষ্টবাদী এর আগেও তিনি ওবামা সরকার থাকা কালীন আরো একবার সরব হন। তিনি বলেন, ওবামা সরকার মানতেই চায় না যে মৌলবাদীরাই আমেরিকার প্রধান শত্রু। আর এবার আরো একবার জো বাইডেনের সরকারের ওপর ক্ষিপ্ত তিনি।
I can no longer remain in today’s Democratic Party that is now under the complete control of an elitist cabal of warmongers driven by cowardly wokeness, who divide us by racializing every issue & stoke anti-white racism, actively work to undermine our God-given freedoms, are… pic.twitter.com/oAuTnxZldf
— Tulsi Gabbard 🌺 (@TulsiGabbard) October 11, 2022
তাঁকে এও বলতে শোনা যায় যে, ‘এরা কখনোই সাধারণ মানুষের সরকার নয়’ । এই সূত্রে বলা যায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য তুলসী একটা সময় আমেরিকার আইনসভার সদস্যও ছিলেন। তুলসী গাবার্ডের এই পদক্ষেপ জো বাইডেন কে যথেষ্ট ভোগাবে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা।