আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বলা হয়েছে মোখা ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে এগিয়ে যাবে মায়ানমারের দিকে। বুধবার রাতে মোখা গভীর নিম্নচাপ তৈরি করে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে, তারপরেই শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে পৌঁছে যাবে মায়ানমারের উপকূলে।
এই ঘূর্ণিঝড়টি চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২০২০ তে তৈরি নামে তালিকার প্রথম স্তম্ভ শেষ হবে এরপর শুরু হবে ২০২০ র তালিকার দ্বিতীয় স্তম্ভের ঝড়। তালিকার প্রথম স্তম্ভের শেষে মোখা ঝড়ের নাম রয়েছে, সেই সঙ্গে দ্বিতীয় স্তম্ভের প্রথম ঝড়ের নাম হবে বিপর্যয়।
এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ বাংলাদেশ করেছে উত্তর ভারত মহাসাগরের ক্রান্তীয় অঞ্চলে ঝড়ের যে নামের তালিকা রয়েছে সেই নাম অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আসছে। এই অঞ্চলের ১৩ টি দেশ ১৩ টি করে ঝড়ের নাম দিয়েছে সেই মতো ২০২০ সালে তৈরি করা হয়েছে ১৬৯ টি নামের তালিকা।
আরো খবর: এই ই-স্কুটার গিনেজ বুকে নাম তু’লে নিলো, একটানা ২৪ ঘন্টায় দৌঁ’ড়া’লো ১৭৮০ কিমি
এই নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে ১৩ টি দেশকে সারিবদ্ধ ভাবে সাজিয়ে। সবার আগে রয়েছে বাংলাদেশ এবং সবার শেষে ইয়েমেন। এই ঝড়ের নামকরণ করেছে মালদ্বীপ, মায়ানমার ,কাতার, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত, ইরান প্রভৃতি দেশ।
যে ঘূর্ণিঝড় গুলি কমপক্ষে তিন মিনিটের বাতাসে স্থায়ী হয় এবং গতিবেগ সর্বনিম্ন ঘন্টায় ৬৩ কিলোমিটার হয় সেই সমস্ত ঝড়ের নামকরণ করা হয়।
পুরনো তালিকায় শেষ ঝড় ছিল আমফান ২০২০ সালে আমফান চলে যাওয়ার পরে শুরু হয় নতুন তালিকা তৈরি নতুন তালিকায় প্রথম ঝড়ের নাম ছিল নিসর্গ, সেটা হয়েছিল বাংলাদেশ। তার পরপর ঝড়ে এসেছে শাহিন, গুলাবো, ইয়াস, বুরেভি ইত্যাদি। তবে বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে মোখা।