খুব কম জন ছাড়া আমরা প্রত্যেকেই ভগবানের পুজো-অর্চনা করি। ভক্তি ভরে পুজো করে দেবতাদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করি। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছেন যারা শুধু পুজো নয়, তার পাশাপাশি মেনে চলেন বেশ কিছু বিষয়। যার মধ্যে একটি হলো প্রত্যেকদিন স্নানের পর টিকা পরা।
শাস্ত্র অনুযায়ী টিকা পরা একটি অত্যন্ত শুভ বিষয়। তাই অনেককেই দেখা যায় স্নানের পর পুজো সেরে চন্দন বা সিঁদুর সহ নানান জিনিসের টিকা পড়তে। হিন্দু শাস্ত্রে এই প্রতিটি জিনিসেরই একটি মাহাত্ব্য রয়েছে। প্রচলিত আছে যে, কোনো ব্যক্তি যদি প্রত্যহ স্নানের পর হলুদের টিকা পরতে পারেন তাহলে মা লক্ষ্মী খুবই প্রসন্ন হন। এর ফলে তার অনেক উপকার পাওয়া যায়। এমনকি সেই ব্যক্তির ভাগ্যের চাকা ঘুরতেও খুব বেশি সময় লাগে না বলে মনে করা হয়।
এক্ষেত্রে কোনো বাছবিচার নেই। গোটা হলুদ বা গুঁড়ো হলুদ – যে কোনো হলুদের টিকাই ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে শুকনো গুঁড়ো হলুদ ব্যবহার করলেই ভালো হয়। প্রত্যহ হলুদ টিকা পরলে মানুষের জীবনে যে যে উপকার পাওয়া যায় তা একটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
প্রথমত, হলুদের টিকা পরলে মা লক্ষ্মী অত্যন্ত প্রসন্ন হোন। কোনো ব্যক্তির উপর দেবীর কৃপাদৃষ্টি পড়লে তার অর্থ ভাগ্যের ব্যাপক উন্নতি হয়, সঞ্চয় দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের সমস্ত বাধাবিপত্তি দূর হয়।
এছাড়া নিত্য হলুদের টিকা পরলে বৃহস্পতিও সন্তুষ্ট থাকে। তাছাড়া আপনি যদি বৃহস্পতিকে শক্তিশালী করতে চান তাহলে প্রত্যহ হলুদের টিকা পরা ভালো, হাতেনাতে ফল পাওয়া যায়। প্রত্যহ স্নানের পর নিয়ম মেনে এই কাজটি করতে পারলে সকল নেগেটিভ শক্তির বিনাশ ঘটে এবং জীবনে শুভ সময় শুরু হয়।
যে সব মানুষ অবসাদে ভোগেন অথবা বদমেজাজি হন তাদের জন্যও হলুদ টিকা খুবই উপকার।অবসাদ কাটিয়ে তুলতে এটিকে কার্যকরী বলে মনে করা হয়। পরিবারের সকলে মিলে প্রত্যহ স্নান শেষে এই কাজটি করলে পারিবারিক সুখ শান্তি বজায় থাকে। পারিবারিক জীবন খুব সুখের হয়। এছাড়া কাজকর্মের ক্ষেত্রে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন অথবা আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভোগেন তাহলে এই কাজটি প্রত্যেকদিন করুন, চটপট সমাধান পাবেন।