সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দী’র্ঘ ১২ বছর পর এবছর পিতৃপক্ষ ১৬ দিনের, ভা’লো চো’খে দেখছে না শা’স্ত্র

এই বছর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে পিতৃপক্ষ শুরু হচ্ছে। যা শেষ হবে ২৫ সেপ্টেম্বরে। প্রতি বছর ১৫ দিনের পিতৃপক্ষ হলেও, পঞ্জিকা অনুযায়ী এ বছর পিতৃপক্ষ হচ্ছে ১৬ দিনের। আর এই একদিন বেশি পিতৃপক্ষ দিন বেড়েছে এটা মোটেই শুভ নয় বলছেন শাস্ত্রবিদরা। সাধারণত পিতৃপক্ষ শুরু হয় ভাদ্রপদ মাসের শুক্ল পক্ষের পূর্ণিমা তিথি থেকে এবং যা শেষ হয় আশ্বিন মাসের অমাবস্যায়। এই সময়টিতে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশে শ্রাদ্ধ কর্ম ও তর্পণ করা হয়ে থাকে।

এ সময় পূর্ব পুরুষদের আশীর্বাদ নিয়ে তাঁদের কাছ থেকে নিজের ভুলের ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়ে থাকে। আর শাস্ত্র মতে এই শ্রাদ্ধ কার্য কুতুপ ও রোহনা মুহূর্তে করার বিধান আছে। এই কুতুপ্ ও রোহনা মুহূর্ত কি, কেনোই বা এই সময়েই শ্রাদ্ধের কাজ করতে হয় আসুন জেনে নেওয়া যাক। বলা হয়ে থাকে কুতুপ ও রোহনা মুহূর্তে শ্রাদ্ধ করা ভালো। এই বছর প্রতিপদা শ্রাদ্ধ ১০ সেপ্টেম্বর, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। এই বছর কুতুপ ও রোহনা মুহূর্ত পরেছে যথাক্রমে,

কুতুপ মুহূর্ত- দুপুর ১২টা ১০ মিনিট থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। মোট ৫০ মিনিট সময়ে শ্রাদ্ধকর্মাদি করা যাবে।

আর রোহিনা মুহূর্ত- দুপুর ১টা থেকে ১টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত, মোট ৪৮ মিনিট সময়। এই সময়ের মধ্যেই সকল কার্য সম্পাদন করতে হবে। এই পিতৃপক্ষ মিটলে তার পরেই তর্পণ করা যায়। গঙ্গায় তর্পণ করাকে সবচেয়ে বেশি শুভ মনে করা হয়। তর্পণের সময় সূর্যের দিকে মুখ করে হাত দিয়ে জল দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন: ভোজনরসিকদের জন্য ভা’লো খবর, রাজ্যে ঢু’ক’লো বাংলাদেশি ইলিশ

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী পিতৃপক্ষের সময় পূর্ব পুরুষরা পিতৃলোক থেকে মর্ত্যে আসেন। এ সময় তাঁরা নিজের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আশা করেন খাবার ও জল পাওয়ার। তবে এই পিতৃপক্কের কিছু নিয়মাবলী আছে। এই সময় চলা কালীন মেনে চলতে বলা হয়।

১. পিতৃপক্ষ চলা কালিন সমস্ত ধরনের শুভ অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ। এ সময় বিবাহ, এনগেজমেন্ট, গৃহ প্রবেশ করাকে অশুভ মনে করা হয়।

২. এই সময়ে আমিষ খাবারগ্রহন ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।

৩. যিনি শ্রাদ্ধের কাজ করেন তাকে বলা হয় চুল নখ যেনো না করেন।

৪. এই সময় কোনো পাখি কে কষ্ট যেনো কেও না দেয় তার উল্লেখ্য আছে শাস্ত্রে। কারণ মনে করা হয় এই ১৫ দিন পিতৃপক্ষতে পূর্ব পুরুষেরা পাখির রূপে আসেন মর্তে।

৫. এই সময়ে কিছু খাবারের ওপর নিষধাজ্ঞা আছে। যেমন লাউ, শশা, ছোলা, জিরা ও সরষের শাক খেতে নেই এই সময় বলা হয়।