সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মমতাকে “দেশনেত্রী” বলে সম্বোধন অভিষেকের, অধীর-সুজনের গ’লা’য় অন্য সু’র

এখনও অনেক দেরি আছে আগামী লোকসভা ভোট। তার আগেই সুর বেঁধে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার উপনির্বাচনের প্রচারে আরও এক কদম এগিয়ে মমতাকে ‘দেশনেত্রী’র অভিধা দিলেন অভিষেক। তবে সিপিএম ও কংগ্রেসের দাবি, বিজেপির সুবিধা করে দিতেই বিরোধী জোটে ভাঙন ধরাচ্ছে তৃণমূল। বিধানসভা ভোটে মমতাকে ‘বাংলার মেয়ে’ প্রচার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ঘাসফুল শিবিরের লক্ষ্য দিল্লি। যে লড়াইয়ে অভিষেক-কথায় মমতা হয়ে উঠলেন ‘দেশনেত্রী’।

এদিন তিনি বলেন,”বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে গণতন্ত্র লুণ্ঠিত। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এখানে এসে ভাষণবাজি করছিল। মন্ত্রীর ছেলে গাড়ি চালিয়ে মারছে কৃষকদের। এই তো অবস্থা। গোয়ায় বিজেপিকে হারিয়ে উন্নয়নের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে তৃণমূল। দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের সরকারকে রাজ্য ছাড়া করব। ক্ষমতা থাকলে আটকাও। শুধু ত্রিপুরা, গোয়া নয় অন্যান্য রাজ্যেও যাব। এই বাংলাই দেশনেত্রীকে উপহার দিতে চলেছে। যাঁর দিকে গোটা দেশ তাকিয়ে আছে। একমাত্র তিনি-ই পারেন বিজেপি-কে সরিয়ে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে।”

অভিষেক বিজেপিকে দিল্লি থেকে হঠানো কংগ্রেসের পক্ষে সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন। তাঁর কথায়,”তৃণমূলের বিরুদ্ধে এত কথা বলছে কংগ্রেস। কখনও সিপিএমের সঙ্গে জোট হচ্ছে কখনও হচ্ছে না। কখনও আইএসএফের সঙ্গে জোট। মানে যেনতেন প্রকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে হবে। আর বিজেপির সুবিধা করে দিতে হবে। আরে কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির পার্থক্য কোথায় জানেন? কংগ্রেস ৭ বছর ধরে বিজেপির কাছে হারছে। আর তৃণমূল ৭ বছর ধরে বিজেপিকে হারাচ্ছে। ২০২৪ সালে বিজেপিকে ভারত ছাড়া করবে তৃণমূল কংগ্রেস। জাতীয় কংগ্রেসের দ্বারা হবে না। এদের ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা। নোটায় ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা। তেমন কংগ্রেস ও সিপিএমকে ভোট দেওয়ার অর্থ ভোট নষ্ট।”