সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জে’লে বসেই করছেন আবদার, পা’তে দি’তে হবে ৬ পিস মাংস, মাছ লা’গ’বে ৪ খা’না

এই পৃথিবীতে কত ধরনের মানুষ আমরা প্রতি নিয়ত দেখছি যাদের দেখে ক্রমশ অবাকের উপর অবাক হতে হচ্ছে। এতকাল আমরা দেখে এসেছি যেকোনো জেলের কয়েদি যারা অন্যায় করার জন্য জেলে বন্দী তাদের কত কষ্টের জীবন যাপন বা তাদের এই জীবন যাপনের মধ্য দিয়েই শাস্তির ব্যাবস্থা করা হয় থাকে। আর সম্প্রতি আলিপুর জেলার চিত্রটা একটু অন্যরকমই। সেই চিত্র এর আগে হয়তো দেখেনি বঙ্গবাসী। এক গলা সমান অন্যায় করার সত্বেও কি নির্দ্বিধায় একের পর এক ডিমান্ড করা যায় সেটা প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে না দেখলে জানাই হয়তো যেত না।

আমরা সকলেই জানি স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে জেলবন্দি অবস্থায় দিন কাটছে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এবং তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় দুজনেই গ্রফটার হয়েছেন এই মামলায়। তাদের ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গেছে কোটি কোটি টাকা। আর এই দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মন্ত্রিত্ব থেকে শুরু করে দলীয় সকল পদ গিয়েছে তাঁর। তবু দীর্ঘদিনের অভ্যাস তাঁর এখনও থেকে গেছে। আজও নিজেকে প্রাক্তন মন্ত্রীমশাই খুব হেভি ওয়েট নেতাই হয়তো মনে করেন তাই তো জেলে বসেও তার বায়নার কমতি নেই।

খাবার থেকে শুরু করে স্নান এবং অন্যান্য একাধিক বিষয়ে অতিরিক্ত সুযোগসুবিধা পেতে বায়না যেন দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে আর এতেই নাজেহাল পরিস্থিতি কারারক্ষীদের একাংশের। সাধারণত জেলের নিয়ম অনুযায়ী মাছ এবং মাংস রান্না হলে প্রত্যেক বন্দিকে দেওয়া হয় যথাক্রমে ২ এবং ৪ টুকরো। তবে তাকে ছয় টুকরো মাংস এবং চার টুকরো মাছ দেওয়ার বায়না ধরেছেন পার্থ। এগুলো অনৈতিক তিনি নিজেও জানেন। তার সত্বেও এরকম বায়না তিনি করেন কি করে। অবাক হয়েছে জেলের সকলেই। শুধু তাই নয় তাঁকে স্নান করিয়ে দেওয়ার বায়নাও ধরছেন তিনি।

আরো খবর: এক ধা’ক্কা’য় অনেকটা পারদ না’ম’লো, তবে কি পাকাপাকি ভা’বে ঢু’ক’লো শীত?

নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর সেলের নিকট প্লাস্টিকের ড্রামে জল রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ। তবে বর্তমানে পার্থের দাবি, স্নানের সময় ড্রাম থেকে জল তাঁর গায়ে ঢেলে দেওয়ার জন্য একজন লোক নিয়োগ করতে হবে। যদিও এক্ষেত্রে এহেন কোন নিয়ম আইনের আওতায় পড়ে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।

এমনকি জেলে বন্দীদের কথা বলার জন্য ১০ মিনিট প্রযোজ্য হলেও তিনি বেশী সময় ধরে কথা বলছেন। সাথে কাউকে থাকতেও দিচ্ছেন না। এতটাই গোপনীয় তার কথা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই জেলের মধ্যে আরো একজন এই একই মামলায় ধৃত ব্যাক্তি রয়েছে মানিক ভট্টাচার্য। আর তার সাথে পার্থ বাবুর সখ্যতা সকলেই আমরা জানি। কিন্তু বার বার ডাক দিয়েও পার্থ বাবুর সাথে কথা বলতে রাজি হন নি মানিক। তাদের সম্পর্ক এখন শেষের দিকে এসে দাঁড়িয়েছে বলাই যায়।