সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কয়েকদিন পরেই মহালয়া, এই মহালয়াকে কে’ন্দ্র করে আছে পুরাণ কা’হি’নী, জেনে নিন

আগামী ৬ই অক্টোবর (১৯ আশ্বিন), বুধবার মহালয়া। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে মহালয়ার অমাবস্যা তিথি শুরু হবে ৫ সেপ্টেম্বর (১৮ আশ্বিন) , মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.০৬ মিনিট এবং থাকবে ৬ সেপ্টেম্বর ( ১৯ আশ্বিন), বিকেল ৪.৩৫ মিনিট পর্যন্ত থাকবে মহালয়া। গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মতে ৫ই সেপ্টেম্বর  (১৮ আশ্বিন) রাত ৬.৩২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড থেকে শুরু হয়ে ৬ সেপ্টেম্বর (১৯ আশ্বিন) ৫.১০ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড অবধি অমাবস্যা চলবে। পু্রাণ থেকে শুরু করে মহাভারত, মহালয়ার গুরুত্ব বর্ণিত আছে সব জায়গাতেই।

পুরাণ অনুসারে মহালয়া : পুরাণে বর্ণিত মহালয়ার গুরুত্ব অনুসারে পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ শান্তি ও তর্পণ করলে পূর্ব পুরুষেরা খুশি হন এবং আশীর্বাদ করেন। তাদের কৃপায় জীবনের বাধা দূর হয়। দেবীপক্ষ শুরু হওয়ার আগে তাই তর্পণ করা প্রয়োজন।

রামায়ণ অনুসারে মহালয়া : শাস্ত্রমতে অকালে কোনো পুজোর আয়োজন করতে হলে ইষ্ট দেবতা ও প্রয়াত পিতা -মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তর্পণ করা উচিত। দেবী দুর্গার অকাল বোধনের আগে শ্রী রামচন্দ্রও তর্পণ করেছিলেন। মহালয়ার দিন পিতৃ তর্পণ করেছিলেন রাম।

মহাভারত অনুসারে মহালয়া : স্বর্গে যাবার পর কর্ণের আত্মাকে শুধু সোনা এবং রুপা দেওয়া হতো। কারণ দাতা কর্ণ কখনো জল এবং খাবার দেননি তার পিতৃপুরুষকে। কর্ণ প্রথমে তার পিতৃপরিচয় জানতেন না। যুদ্ধের আগের রাতে কুন্তীর থেকে তিনি তা জানতে পারেন। তখনই কর্ণকে পিতৃতর্পণের পরামর্শ দেওয়া হয়।

দেবরাজ ইন্দ্র : দেবরাজ ইন্দ্রকে ১৬ দিনের জন্য তর্পণ করতে মর্তে পাঠান যমরাজ। ১৬ দিনই পিতৃপক্ষ নামে পরিচিত হয় এবং সেই সময় থেকেই মহালয়ার দিন এবং তার আগে ১৫ দিন পিতৃপুরুষদের জলদান করার প্রচলন শুরু হয়।