পৃথিবী যেমন বিচিত্রময় তেমনি পৃথিবীতে বসবাস কারি প্রত্যেকটা জীবের ভাবনাচিন্তা ধ্যান-ধারণার সমস্ত কিছু আলাদা রকমের হয়ে থাকে। বিশেষ করে মানবজাতি। আমরা মানুষদের ভাবনাচিন্তা ধ্যান-ধারণা মানসিকতার সমস্ত কিছুর মধ্যেই একে অন্যজনার থেকে বিস্তর ফারাক থাকে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী রাশি চক্রের থাকা বিভিন্ন রাশি দিয়ে ভাবনা-চিন্তা মানসিকতা সম্পর্কে কিছুটা হলেও আঁচ করা সম্ভব।
এই প্রতিবেদনে আমরা চার রাশির সম্পর্কে কথা বলব যারা ছোটখাট ব্যাপারে দুঃখ পেয়ে যায়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী বৈদিক শাস্ত্র মতে বারোটি রাশির রয়েছে। জন্ম সময়ের হিসাব নিকাশ করে এই রাশি নির্ধারণ করা হয়। বিভিন্ন রাশির অধিকর্তা বিভিন্ন গ্রহ, সেই কারণেই এক রাশির সঙ্গে কোন রাশির মধ্যে তেমন মিল পাওয়া যায় না।
কেউ নরম হয় তো কেও খুব কঠোর হয়। কেউ একটু ব্যাপারে দুঃখ পেয়ে যায় তো কেও খুব শক্ত থাকে। এই প্রতিবেদনে আমরা সেই সমস্ত রাশির জাতক জাতিকাদের কথা বলব যারা একটু বেশি দুঃখ পেয়ে যায়।
আরো পড়ুন: বলি তারকারা কত টা’কা ইলেক্ট্রিক বিল মে’টা’ন এক মাসে? অ’র্থে’র পরিমাণ জানলে চ’ম’কে যাবেন
প্রথমেই রয়েছে মীন রাশি এই রাশির জাতক-জাতিকারা ছোটখাট ব্যাপারে ভীষণ ভাবে কষ্ট পেয়ে যায়। রাশিচক্রের দ্বাদশ রাশি হল এই রাশি। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জীবনের উত্থান-পতন লেগেই থাকে। এরা দুর্বল মনের মানুষ হয় এবং ছোটখাটো বিষয়ে খুব সহজেই মনে আঘাত পেয়ে যায়।
রাশিচক্রের অষ্টম রাশি বৃশ্চিক রাশি। এই রাশির অধিকর্তা হল মঙ্গল। এই রাশির জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত একগুঁয়ে এবং নির্ভীক স্বভাবের হয়ে থাকে,্ এরাও অল্প বিষয়ে দুঃখ পেয়ে যায়। এই রাশির জাতক জাতিকারা অত্যন্ত অনুগত এবং সহানুভূতিশীল প্রকৃতির হয়ে থাকে।
এরপর রয়েছে কর্কট রাশি রাশি হল রাশিচক্রের চতুর্থতম রাশি এবং এই রাশির অধিকর্তা হলো চন্দ্র। এরা অতি ছোটখাট ব্যাপারে খুব সহজেই দুঃখ পেয়ে যায় এবং এরা নরম মনের মানুষ হয়।
এরপরই রয়েছে মিথুন রাশি। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের আবেগ অত্যন্ত বেশি পরিমাণে থাকে। এদের সহজে কেউ বুঝতে পারে না। এই রাশি হল রাশিচক্রের তৃতীয় রাশি, এর অধিকর্তা বুধ।
এই রাশিতে সবসময় বিরাজ করে চঞ্চলমতি গ্রহ সেই কারণেই এরা খুব অল্প বিষয়ে দুঃখ পেয়ে যায়। এরা খুব দয়ালু স্বভাবের মানুষ হয়ে থাকে এবং অন্যর কষ্টকে কখনোই দেখতে পারে না যার কারণে অন্যকে কষ্ট পেতে দেখলে এরা সাহায্য করে।