সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

২৮ সেকেন্ডে ভরতনাট্যমের ৫২টি হস্তমুদ্রা প্র’দ’র্শ’ন বাঙালি খুদের, নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে

দেশীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলী ভরতনাট্যমে সবচেয়ে কম সময় মাত্র ২৮ সেকেন্ডে ৫২ টি হস্তমুদ্রা প্রদর্শন করে রীতিমতো চর্চায় প্রমা। উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যমগ্রামের ২ নম্বর বসুনগরের বাসিন্দা প্রমা পাল। দু’পা এবং দু’হাতের জাদুতে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মাত্র ৫ বছরের এই বঙ্গকন্যা। আর সেই কারণেই India Book of Records 2021-এ নাম উঠেছে এই ছোট্টো মেয়েটির। এইটুকু বয়সেই প্রমার এই সাফল্যে প্রমা নিজে খুশি তো বটেই,সেই সাথে খুশি তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন সহ প্রতিবেশীরাও।

প্রমা পানিহাটির একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কেজি ক্লাসের এক ছাত্রী। বাবা কুন্তল পাল, এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। মা পূর্বিতা সাহা, পাল মসলন্দপুর রাজবল্লভপুর হাই স্কুলের শিক্ষিকা। ছোটবেলা থেকেই নাচের প্রতি আকর্ষণ ছিল তার। সেইজন্য মাত্র তিন বছর বয়সে মেয়েকে নাচের স্কুলে ভরতি করে দেন তার বাবা-মা। খুব কম সময়ের মধ্যে তাঁর মেয়ে যে ভরতনাট্যমের সংযুক্ত এবং অসংযুক্ত মিলিয়ে মোট ৫২টি হস্তমুদ্রা রপ্ত করে ফেলেছে তা সম্প্রতি লক্ষ্য করেন প্রমার মা।

তাঁর মাথায় আসে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের বিষয়টি। সেইমতো তিনি প্রমার ২৮ সেকেন্ডে ৫২টি হস্তমুদ্রা করা নাচের ভিডিও সংস্থায় পাঠান। এরপরই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস থেকে তাঁদের জানানো হয়, সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে হস্তমুদ্রাগুলি করে রেকর্ডের অধিকারী হয়েছে প্রমা। মেয়ের সাফল্যে যারপরনাই খুশি পূর্বিতা ও কুন্তল। এদিন পূর্বিতা বলেন, “অভিভাবক হিসাবে মেয়ের এই সাফল্যে আমরা খুবই খুশি। তবে প্রমার এই সাফল্যের পিছনে তার নাচের শিক্ষিকা রূপা সরকারের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তিনি ধৈর্যের সঙ্গে মেয়েকে এতটা পারদর্শী করে তুলেছেন। ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম পাঠানোর জন্য মোট কুড়িটি ভিডিও পাঠাতে হয়েছিল। সেই জন্য ৬০টিরও বেশি ভিডিও শুট করতে হয়েছে। পুরো সময়টাই ধৈর্যের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে প্রমা।”

ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে সাফল্য পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে সে। নাচের পাশাপাশি শাস্ত্রীয় সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, ছবি আঁকাতেও সমান উৎসাহ রয়েছে তার। প্রমার এই সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তার এই প্রতিভা ঈশ্বরদত্ত বলে মনে করেন তিনি। ভবিষ্যতে প্রমা যাতে তার এইরূপ প্রতিভার জন্য অনেক খ্যাতি অর্জন করে এই বলে তিনি ছোট্টো প্রমাকে আশীর্বাদও করেছেন।