আর মাত্র একদিনের অপেক্ষা এর পরেই বাংলার আরো একটি নতুন বছর পড়তে চলেছে। এই নববর্ষের দিনে বাঙালিদের উজ্জাপন থাকে দেখার মতোন। এই দিন সকাল থেকে বাড়িতে বা মন্দিরে গিয়ে পুজো দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদ রান্না করা সবটাই হয় এই দিনে।
নতুন পোশাক পরে নানা জায়গায় বেরাতেও যায় অনেকেই। সবাই মত কথা সারা বছর যাতে ভালো কাটে সেই ভেবেই প্রথম দিনটা পারফেক্টলি পালন করার চেষ্টা করে। কিন্তু বাস্তু শাস্ত্র মতেও কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো মেনে চললে আপনার বাড়ি সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে যাবে।
১. বৃহস্পতিবার অবশ্যই কোনও হলুদ বস্তু খান। এ দিন সবুজ খাদ্যবস্তু খেতে নেই। অন্য দিকে বুধবার সবুজ খাদ্যবস্তু গ্রহণ করবেন, কিন্তু হলুদ বস্তু থেকে দূরে থাকুন। এই উপায়ে পরিবারে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
২. নববর্ষের প্রতি মাসে অন্তত এক দিন মিশ্রীযুক্ত পায়েস বানান এবং তা পরিবারের সঙ্গে মিলে তা খান। সবার আগে এই পায়েস বাড়ির বয়স্ক সদস্যকে দিন। এই উপায় করলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।
৩. সূর্যাস্তের সময়ে কেউ দুধ, দই বা পেঁয়াজ চাইতে এলেও দেবেন না। তা না-হলে বাড়ির উন্নতি বাধিত হয়। বাড়ির ছাদে কখনও অন্ন বা বিছানা ধোবেন না। কারণ এর ফলে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। বরং ছাদে ধোয়া অন্ন, বিছানা শুকোতে দিতে পারেন।
আরো খবর: “P” দিয়ে না’ম শুরু হওয়া মানুষেরা কেমন হয় জী’ব’নে?
৪. বছরে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে রান্নাঘরে বালতি ভরে রাখুন। এই উপায়েঋণের বোঝা থেকে মুক্তিপাবেন। অন্য দিকে বাথরুমে বালতি ভরে রাখলে উন্নতির পথে কোনও বাধা আসবে না।
৫. বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী বাড়ির প্রবেশদ্বারের পাশে কখনও ডাস্টবিন রাখতে নেই। কারণ এর ফলে প্রতিবেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয় এবং শত্রুতা বৃদ্ধি পায়। আপনিও এমন করে থাকলে এই নববর্ষ থেকেই তা করা বন্ধ করে দিন।
৬. চেষ্টা করেও চাকরি ও ব্যবসায় সাফল্য লাভ করতে পারছেন না? তা হলে নববর্ষ থেকেই এই একটি সহজ উপায় করুন। আমরা প্রত্যেকেই ফল খেয়ে থাকি। ফলের খোসাগুলি ডাস্টবিনে না-ফেলে বাড়ির বাইরে ফেলে আসা উচিত। এর ফলে বন্ধুদের কাছ থেকে লাভ অর্জন করতে পারবেন এবং ব্যবসা ও চাকরি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কোনও সুসংবাদ পেতে পারেন।
৭. সন্তান জেদি হলে এই উপায় করে দেখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে খুব সহজ একটি উপায় রয়েছে। পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু করে প্রতিদিন এটি নিজের অভ্যাসে পাল্টে ফেলুন। বাস্তু অনুযায়ী স্নানের পর কখনও ভেজা বা একদিন আগের তোয়ালে ব্যবহার করবেন না। কারণ এর ফলে সন্তান জেদি হয় এবং পরিবার থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে। এর পরিবর্তে প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ধোয়া তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত।
৮. রাতে এঁটো বাসন ফেলে রাখার অভ্যাস থাকলে নতুন বছরে তা ত্যাগ করুন। রাতে ভুলেও এঁটো বাসন না-ধুয়ে ঘুমাবেন না। কারণ এর ফলে পরিবারের লোকসান হয়। আবার পুরো পরিবার মিলে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে এক সঙ্গে বেরোবেন না। আগে-পড়ে বেরোলে যশ বৃদ্ধি হয়। সমাজে সেই ব্যক্তির মান-সম্মান বাড়ে। এগুলি মেনে চললে আপনার সংসারে কোনো অমঙ্গল থাকবে না। সুখ ও শান্তি দুটোই বজায় থাকবে।