একদিকে একটি তর্ক শেষ হয় তো অন্য দিকে একটি বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। সম্প্রতি জানতে পারা গেছে, নুসরাত জাহানের একমাত্র ছেলের পিতার পরিচয়। জানতে পারা গেছে তিনি আর কেউ নয়, দেবাশিস দাশগুপ্ত ওরফে যশ দাশগুপ্ত। ১৯ ২০ পত্রিকার একজন মডেল ধারাবাহিকের দ্বারা প্রবেশ করেছিলেন সোনালী পর্দায়।
একের পর এক দুর্দান্ত ধারাবাহিকে অভিনয় করার পর তিনি রুপোলি পর্দায় বেশ কয়েকটি সিনেমা করেছিলেন। সম্প্রতি মুক্তি পেতে চলেছে তার এবং এনা সাহা অভিনীত সিনেমা, চিনেবাদাম। এছাড়া মধুমিতা সরকারের সঙ্গে আরও একবার জুটি বাঁধতে চলেছেন তিনি। তাদের দুজনকে দেখতে পাওয়া যাবে একটি মিউজিক ভিডিওতে।
সিনেমার শ্যুটিংয়ে আলাপ হয়েছিল নুসরাত জাহানের, তার পরের ইতিহাস আমাদের সকলের জানা। সম্পর্কের সূত্রপাত সেখান থেকেই। নিখিলের সঙ্গে আইনগতভাবে বিচ্ছেদে না হলেও যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে একই সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন নুসরাত জাহান। গর্ভাবস্থার কথা জানতে পারার পর হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হয়ে যায়। অনেকে যেমন সমর্থন করেছেন যশ দাশগুপ্ত এবং নুসরাতকে তেমন আবার অনেকে কটুক্তি করেছেন তাদেরকে।
তবে ধারাবাহিকের পরিচিত মুখ যশ দাশগুপ্তের প্রথম সিনেমার নাম ছিল, পাগল প্রেমী।অভিনেতার প্রথম ছবির নায়িকা কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। তিনি আর কেউ নয় মিঠাই ধারাবাহিকের অন্যতম চরিত্র সিডের পিসিমণি অপরাজিতা। এই ছবিতে যশ দাশগুপ্ত এবং অপরাজিতা ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। ত্রিকোণ প্রেমের এই কাহিনীর নায়িকা ছিলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।
এই সিনেমাটি ছিল যশ দাশগুপ্তের প্রথম ছবি। সিনেমাতে অজয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। অর্পিতার চরিত্রের নাম ছিল গীতাঞ্জলি। ঋত্বিক ছিল ছবির নায়ক। বাংলার পাশাপাশি উড়িয়া ভাষাতেও তৈরি করা হয়েছিল এই সিনেমাটি। আজ থেকে বহুদিন আগে তৈরি হওয়া এই সিনেমার নাম অনেকেই আমরা জানি না।
তখন ঋত্বিক বা যশ দাশগুপ্ত কে চেনেন না কেউ। চেনেন না অর্পিতাকেও। তবে আজকের দুনিয়ায় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নিজের আলাদা পরিচয় গঠন করতে পেরেছেন। যশ এবং ঋত্বিক বড় পর্দায় অভিনয় করলেও অপরাজিতা আজও সমানতালে অভিনয় করে চলেছেন ছোটপর্দায়।