সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বেশ উদ্বেগজনক, কো’ভি’ড উপসর্গ থাকলেও রি’পো’র্ট নে’গে’টি’ভ, ৪০ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রেই একই ঘ’ট’না

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা আর মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে দেশে। এদিকে দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে জর্জরিত ভারতবাসী। ছোটদের কথা তো দূরস্ত, বড়দেরও এখনো সকলের করোনা টিকা নেওয়া হয়ে ওঠেনি। তার মধ্যেই এখন আবার নতুন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইদানিং দেখা যাচ্ছে শরীরের করোনার লক্ষণ থাকলেও করোনা টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে বহু শিশুর।

বিগত কয়েক দিনে প্রায় ৪০ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রে এই ঘটনা দেখা গিয়েছে। শরীরের জ্বর এবং করোনার অন্যান্য উপসর্গ থাকা সত্বেও করোনা টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে কিভাবে? ভেবে পাচ্ছেন না চিকিৎসকরা। তবে এর জন্য অনেকেই আবার করোনার জন্য rt-pcr টেস্টকেই দায়ী করছেন। কারণ লালারস সংগ্রহ করার সময় শিশুদের এক জায়গায় স্থির ভাবে বসিয়ে থাকাটা বেশ দুষ্কর। তাই সেই ফাঁকেই পরীক্ষায় কিছু গলদ থেকে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা রস না নেওয়া গেলে করোনা টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসাটাই স্বাভাবিক। শিশুদের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ‘ডা. বিসি রায় পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট অফ পেডিয়াট্রিকস’-এর শিশু শল্য বিভাগের চিকিৎসক তথা রাজ্য কোভিড মনিটরিং টিমের সদস্য ডা. সুজয় পালের বক্তব্য আসলে এই ধরনের ঘটনায় ফলস রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আরেকবার টেস্ট করানোর কথা বলছেন চিকিৎসকরা।

শিশুদের মধ্যে এই ধরনের উপসর্গ কিংবা ডায়রিয়ার মত উপসর্গ দেখা দিলে ৫-৭ দিনের মধ্যেই করোনা টেস্ট করানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বড়দের থেকে প্রধানত শিশুদের শরীরে করোনা ছড়াচ্ছে। মা এবং শিশুর একসঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেশি ধরা পড়ছে। যদিও শিশু করোনা আক্রান্ত হলেও তাকে স্তন্যপান করানো যাবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।