বক্সিং রিংয়ের ভেতরেই কেরিয়ারের প্রথম ইনিংস শুরু করেছিলেন মাইক টাইসন। জীবনের প্রথম অর্ধে বহুবার বহু বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। কখনো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কান কামড়ে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটিয়েছেন, কখনো আবার যৌন নির্যাতনের মামলায় ফেঁসেছেন। তার বিপক্ষে যারা লড়েছেন, তারাই একমাত্র জানেন, বক্সিং রিং এর ভিতরে সাক্ষাৎ “মৃত্যুর দূত” হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি।
তবে বক্সিং রিং এর ভিতরে একসময় যিনি ঝড় তুলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রবল ভয় দেখিয়েছেন, এমনকি মৃত্যুর দোরগোড়া পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন, তিনি আজ বক্সিং রিং থেকে বহুদূরে নিজের ফার্ম করে তুলে সেখানে গাঁজার চাষ করছেন।
বিশ্বের “সেরা গাঁজা চাষি” হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন মাইক টাইসন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে ১৬ হেক্টর জমির উপর তিনি যে গাঁজা চাষের ফার্ম গড়ে তুলেছেন তা থেকে এখন বছরে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছেন।
টাইসনের তৈরি এই ফার্মে যে গাঁজা উৎপন্ন হয় সেই গাঁজা দিয়েই “টাইসন র্যাঞ্চ” নামক একটি কোম্পানি খুলে ফেলেছেন তিনি। ক্যালিফোর্নিয়ায় গাঁজা উৎপাদন ও ক্রয়-বিক্রয় আইনত বৈধ। সেখানে ২১ বছরের বেশি বয়সীরা গাঁজা সেবন করতে পারেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় গাঁজার চাহিদাও প্রচুর।
এক সময় বক্সিং দুনিয়া থেকেও প্রভূত সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন তিনি। ৫৮৪ মিলিয়ন বা ৫৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার মালিক ছিলেন টাইসন। তবে তিনি সেই সম্পত্তি ধরে রাখতে পারেননি। জীবনের একটি পর্যায়ে দেউলিয়া হতে হয়েছিল তাকে। এবার গাঁজা চাষ করেই ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছেন টাইসন। বর্তমানে প্রতিমাসে প্রায় পাঁচ লাখ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় তিন কোটি টাকারও বেশি আয় করছেন টাইসন।