সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নিজেদের মহাকাশযানের উপর নি’য়’ন্ত্র’ণ নেই, যে কোনো সময় পৃথিবীর উপর ভে’ঙে পড়বে চীনা রকেট

যতদিন যাচ্ছে আমাদের বিশ্বের নানা দেশের বিজ্ঞানীরা নানান এক্সপেরিমেন্টাল ডিভাইস থেকে শুরু করে রকেট বানিয়ে যাচ্ছেন। প্রযুক্তি আরো আরো উন্নত হচ্ছে। কিন্তু অনেক কিছুই যা ফেল করে যায় সেটার কারণে অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়ে যায় আমাদের পৃথিবীতে। আর সেরকমই আরো একটি কাণ্ড ঘটতে চলেছে আবারও। সম্প্রতি চীনের মহাকাশ সংস্থা ৩১ অক্টোবর ‘ লং মার্চ’ নামের একটি রকেট উৎক্ষেপণ করে। এই রকেটে করেই তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে নানা সামগ্রী পাঠিয়েছে চিন।

চিনের মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, স্পেস স্টেশনে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানোর জন্য এটাই তাদের শেষ উদ্যোগ। কিন্তু জানা যাচ্ছে যে, সফল ভাবে সব প্রসিডিওর মেনে উৎক্ষেপণের পরেও রকেটের একাংশ চিনা মহাকাশ সংস্থার নিয়ন্ত্রণে নেই। যার মানে এই দাঁড়ায় যে, আরও এক বার পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে ভেঙে পড়তে চলেছে রকেটের ২৩ টন ওজনের একাংশ।

আর এই নিয়েই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিজ্ঞানীদের। যদি জনবসতির মধ্যে সেই অংশ ভেঙে পড়ে তাহলে অনেক মানুষের প্রাণ হানি হতে পারে। তবে চিনের মহাকাশ সংস্থার আধিকারিক টেড এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মহাকাশযানের একাংশ ভেঙে পড়ার পর এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে বিষয়ে তাঁরা যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।

আরো পড়ুন: অভিষেক যাওয়ার পর থেকে কেউই খোঁ’জ নে’য় না, পৃথিবীটা খুবই স্বা’র্থ’প’র: সংযুক্তা চ্যাটার্জি

শুধু তিনিই নন মুয়েলহাপ্টের বক্তব্য, গোটা বিশ্বের ৮৮ শতাংশ মানুষের বিপদের একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েই যাচ্ছে। যদিও বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার জন্য কারও জীবনহানি হবে না। রকেটের ভেঙে পড়া অংশ কোথায় পড়তে পারে তা আগাম জানিয়ে দেওয়া হবে।

কিন্তু তবুও টা হলেও বিপদের সম্ভাবনার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া হয়নি মহাকাশ সংস্থার তরফ থেকে। এছাড়াও, এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একাংশ। এই আইন সব দেশকে মেনে চলতে বাধ্য করা উচিত বলে মত তাঁদের। কারণ এর আগের বছরেও একবার লং মার্চের এক অংশ ভেঙে পড়েছিল তাই এই বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া উচিত বলে মনে করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।