দীর্ঘদিনের জটলার পর অবশেষে যখন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে গতি এলো তখন আবার করোনার দরুন নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে গেল। করোনার জন্য আপাতত ইন্টারভিউ নেওয়া সম্ভব নয়। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে আগামী ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে আপার প্রাইমারিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলতে হবে! ফলে বর্তমানে উভয় সংকটে কমিশন।
এমতাবস্থায় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হলেও ইন্টারভিউ হবে কি করে, সেই নিয়ে বিবেচনা করছে কমিশন। করোনার প্রভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রের মত উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনলাইনে ইন্টারভিউ নেওয়া হলে সেটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে বলেই মনে করছেন কমিশনের আধিকারিকরা। তবে এতে প্রান্তিক অঞ্চলের চাকরিপ্রার্থীরা সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। তাই তাদের কথা বিবেচনা করে অনলাইন ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পর্কে দ্বিধায় ভুগছে কমিশন।
এই সম্পর্কে আরো বেশ কিছুদিন সময় নেওয়ার জন্য সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেখানে চার সপ্তাহের অধিক সময় চেয়ে নেয় কমিশন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকদের যুক্তি অনুযায়ী, করোনাকালে চাকরিপ্রার্থীদের অফলাইনে ইন্টারভিউ নেওয়া সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আবার অনলাইনেও ইন্টারভিউ নিতে হলে প্রান্তিক অঞ্চলে চাকরিপ্রার্থীরা ইন্টারনেট এবং উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে সেই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা সন্দেহ!
তাই নির্ধারিত সময়ে বেরিয়ে যাবার পরেও এখনো ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ পর্যন্ত ইন্টারভিউয়ের তালিকাও প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। তবে কমিশন আপাতত অনলাইন ইন্টারভিউ নেওয়ার কথা ভাবছে। পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থী মঞ্চ অবশ্য কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাচ্ছে।