সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অ’প’রা’ধী’দে’র কেন নির্বাচনে প্রা’র্থী করা হয়? কেন অভিযোগ মু’ক্ত’রা হন না প্রা’র্থী? উঠলো প্র’শ্ন

তৃণমূল হোক বা বিজেপি, কংগ্রেস হোক বা সিপিএম, লোকসভায় অথবা বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় সকল দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা থাকে। যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে, অর্থাৎ আদালতে যারা অভিযুক্তের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন, তাদেরই জননেতা হিসেবে নির্বাচনে দাঁড় করানো হচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও কার্যত তার অন্যথা হয়নি।

মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় দলের তরফে নির্বাচিত প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশের সময় তাদের বিরুদ্ধে কটি ফৌজদারি মামলা চলছে, সেই হিসেবে তুলে ধরতে হয়। অপরপক্ষে রাজনৈতিক দলগুলিকেও দেওয়া হয় ফর্ম সি৪, যেখানে ওই রাজনৈতিক দলগুলি এই ব্যক্তিকে কেন প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করালেন তার কারণ দেখাতে হয়। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে যে যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের রয়েছে তাদেরকে কেন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা হচ্ছে? যাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনো অভিযোগ নেই তারা কেন প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন না?

‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ বা এডিআর (ADR) এই বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করেছে। সেই বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বলছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফের প্রার্থী বরুণ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ২৭টি মামলা দায়ের করা ছিল। যার মধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির গুরুতর ধারা ছিল ৫৩টি। সিপিএমের হিমাংশু দাসের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ২৪টি। এরপর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মুকুল রায়।

যার বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি মামলা ছিল সেই বরুণ প্রামাণিককে গোসাবা থেকে প্রার্থী করার কারণ হিসাবে বিজেপি জানিয়েছে যে তিনি একজন সমাজসেবী। গোসাবার মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করেন এবং তিনি সর্বদা তাদের পাশে থাকেন। তার বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলাগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছিল বিজেপি। তৎকালীন সময়ে বিজেপির তরফের প্রার্থী মুকুল রায় সম্পর্কেও সেই একই কথা বলেছিল বিজেপি। তবে সিপিএম কিন্তু তাদের তরফের প্রার্থীদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার কারণ জানায়নি।