সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মৃ’ত্যু পথযাত্রীকে কেন গীতা পাঠ ক’রে শোনানো হ’য়?

মৃত্যুপথযাত্রীকে গীতা শোনানো হয়। মুমূর্ষু রোগীর পরিবার বিশ্বাস করেন এতে মৃত্যু পথযাত্রীর আত্মা সদ্গতি পায়। বাস্তবে কি আদেও তেমনটা ঘটে? এর পরিপ্রেক্ষিতে রয়েছে একটি বাস্তবিক ব্যাখ্যা। গীতার প্রথম অধ্যায়ে অর্জুন তার নানা শঙ্কা, নানা কৌতূহল, মানসিক উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছিলেন। মানসিক ভয়-ভীতি, দুঃখ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্ন করেছিলেন কৃষ্ণকে।

গীতার দ্বিতীয় অধ্যায় শ্রী কৃষ্ণ অর্জুনের মনের সকল আশঙ্কা দূর করেছিলেন। তার জীবনের ভয় এবং দুঃখ দূর করেছিলেন নিজের প্রশ্নের জবাবে। মৃত্যুর সময় মানুষ ভয় এবং দুঃখে কাতর হয়ে পড়েন। তখন তাকে গীতা শোনানো হয় তার মনকে শান্ত রাখার জন্য। মৃত্যু পথযাত্রীর মনের ভয় দূর করার জন্য যাবতীয় প্রশ্নের জবাব রয়েছে গীতায়। তাই তাকে গীতা শোনানোর নিদান রয়েছে হিন্দু শাস্ত্রে।

শুধু তাই নয়, জীবনের একেবারে অন্তিম পর্যায়ে এসে মনে পরজন্ম সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের উদ্রেক হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই সময় পরজন্ম সম্পর্কে তাকে আশ্বস্ত করলে তা তার মনে গভীর ছাপ ফেলে। তাই মৃত্যুর সময় হিন্দু ধর্ম মতে মৃত্যুপথযাত্রীকে গীতা শোনানো হয়।