সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সরস্বতী পু’জো’র আ’গে কুল খেতে কেন বারণ ক’রা হয়? সত্যিই কি রা’গ করেন বাগদেবী?

কুলে কেন মানা? সরস্বতী পুজোর আগে জেনে নিন আসল কারণ!এখন কুলের সিজন। গাছে ঝুলে রয়েছে টক মিষ্টি আপেলের মতো কুল। অথচ সেই কুল ছুঁয়ে দেখা বারণ। সরস্বতী পুজোর আগে কূল খেলে নাকি বিদ্যা নষ্ট হয়ে যাবে এমনটাই প্রচলিত ধারণা রয়েছে বাঙ্গালীদের।

এমনকি বহু বছর কেটে যাওয়ার পরেও যারা পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন তারাও সরস্বতী পুজোর আগে কূল খেতে কিছুটা দ্বিধাবোধ করেন। কিন্তু কেন এই দিন কুল খেতে নেই তার কি কোন নির্দিষ্ট কারণ আছে? আসলে পুরান মতে জানা যায় একটি কুলগাছের তলায় তপস্যা করছিলেন মহামুনি বাল্মিকী।

তাকে দেবী সরস্বতী নির্দেশ দিয়েছিলেন যেদিন তার মাথায় কুলের বীজ পড়বে সেই দিন ভঙ্গ হবে তার তপস্যা আর ঠিক সেই দিনই ছিল বসন্ত পঞ্চমী। আর তখন থেকেই বসন্ত পঞ্চমীর আগে কুল খাওয়া নিষিদ্ধ। আবার এর পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ। এই সময় শীতের অবসান ও বসন্তের শুরু বিভিন্ন রকম ঋতু ঘটিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।

বিশেষ করে ঠান্ডা লাগাতে বারণ করা হয় ছোট শিশুদের। এছাড়া এই সময় কুল খেলে পেটের গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেই কারণে সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে নিষেধ করা হয়। আমাদের দেশে যেহেতু কৃষি প্রধান অর্থনীতি তাই নতুন ফসলকে প্রথমে ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করে তারপর মুখে তোলা রেওয়াজ রয়েছে।

এখনো শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িতেই এই রীতি চলে আসছে। শীতকালে প্রথম কুল ধরে গাছে তাই দেবী সরস্বতী পুজোতে প্রথমে কুল নিবেদন করে তারপর তা খাওয়া শ্রেয় বলেই মনে করা হয়।। এইসব সামাজিক ধর্মীয় এবং বৈজ্ঞানিক কারণ মেনেই কুল খেতে নিষেধ করা হয়। তবে এসব লোকাচার এবং কারণ অনেকেই মানতে চায় না। তাই সরস্বতী পুজোর আগে দেদার-বিকোচ্ছে কুল। কুলের আচার থেকে চাটনি সবকিছুই চলছে এই বাড়িতে