সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দেবী লক্ষ্মীর বাহন কে’ন প্যাঁচা? কি বলছে পুরাণ

আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। কোজাগরী লক্ষ্মী পূজাতে দেবী লক্ষ্মীর পাশাপাশি তার বাহন পেঁচারও পূজা করা হয়ে থাকে। দেবী লক্ষ্মী ধন, যশ-খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের দেবী। অপরপক্ষে তার বাহন পেঁচা জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ধৈর্যের প্রতীক। লক্ষ্মীর বাহন পেঁচাকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তবে জানেন কি কেন পেঁচাকেই দেবী লক্ষ্মীর বাহন হিসেবে মনে করা হয়?

লক্ষ্মী দেবীর প্রতীক হলো ধান। মনে করা হয় যারা খাদ্য অপচয় করেন তাদের উপর লক্ষ্মী দেবী অসন্তুষ্ট হন। ধানক্ষেতের আশেপাশের ইঁদুর এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গের বাস। এদিকে পেঁচা ধান নষ্ট করে সেই ইঁদুরকে মেরে ফেলে ধানের ক্ষেত এবং ধানের গোলা ঘর রক্ষা করে। ইঁদুর খেয়ে খাদ্যশস্য রক্ষা করে পেঁচা। তাই পেঁচাকেই লক্ষ্মীর বাহন হিসেবে মনে করা হয়।

তবে পেঁচাকে লক্ষ্মীর বাহন হিসেবে মনে করা আরও একটি তত্ত্ব আছে। মনে করা হয় দেবী লক্ষ্মীর অর্ধেক অংশ জুড়ে অলক্ষ্মী। দেবী লক্ষ্মী ব্রহ্মার মুখের উজ্জ্বল অংশ থেকে আবির্ভূতা। ব্রহ্মা পিঠের অন্ধকার দিক থেকে আবির্ভূত অলক্ষ্মী। দেবী লক্ষ্মীর পায়ের কাছে বাস পেঁচার। অলক্ষ্মী এবং তার অশুভ প্রকৃতির প্রতীক।

লক্ষ্মী দেবীর বাহন পেঁচাকে পেচাকাও বলা হয়। ধৈর্য, বুদ্ধি, প্রজ্ঞার প্রতীক হলো পেঁচা। দেবী লক্ষ্মীর বাহন পেঁচার তার ভক্তদের অনুরোধ করে তারা যেন সবসময় ধন-সম্পদের জাকজমকের মধ্যে আবদ্ধ না থাকে। যখন কোন ব্যক্তি ধন-সম্পদ কাজে লাগিয়েও ধর্ম মূলক কাজ করে তখন লক্ষ্মী দেবীর বাহন পেঁচা অলক্ষ্মীকে আপনার দোরগোড়ায় উড়িয়ে নিয়ে যায়। এটি তখন অলক্ষ্মীর বাহন হিসেবে কাজ করে। তখন সে অজ্ঞতা অহংকার এবং দুর্ভাগ্যের আগমনের প্রতিনিধিত্ব করে।