জীবন এমনই একটি যুদ্ধ যা শুধুমাত্র মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতে হয় আমাদের। একটি অপার শান্তি র খোঁজে সারাজীবন লড়াই করে যেতে হয় মানুষকে। তবে নির্দিষ্ট বয়স সীমা কারোর থাকে না। সম্প্রতি ন্যাচার কমিউনিকেশন জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণা পত্রটি গাণিতিক মডেলিং পদ্ধতির সাহায্যে মানুষের সর্বোচ্চ কত হতে পারে তা নির্ণয় করা হয়েছে। এই হিসেব বলে দিচ্ছ যে একজন মানুষের আয়ু ১২০ থেকে ১৫০ এর বেশি হওয়া সম্ভব নয়। ওই বয়সের পর অসুস্থতা এবং ক্ষত সারিয়ে ওঠার ক্ষমতা কোন মানব শরীরে থাকে না। ফলে মৃত্যুকে হারানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, প্রভূত পরিমাণে তথ্য নিয়ে তারা কাজ করেছেন। এই সম্ভাবনার জোর অনেক বেশি। ঐতিহাসিক এবং বর্তমান সব ধরনের তথ্য কাজে লাগানো হয়েছে। ঠিক কী ধরনের তথ্য নিয়ে কাজ করেছেন গবেষকরা? আমেরিকা ব্রিটেন এবং রাশিয়ার প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের মেডিকেল তথ্য বের করা হয়েছে। সমস্ত তথ্য কে একত্রিত করে কম্পিউটার মডেল তৈরি করে বায়োলজিক্যাল বয়স নির্ণয় করা হয়েছে।
তারপর বিভিন্ন সময়ে দেওয়া রক্তের নমুনা বিশ্লেষণ করে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা এবং আঘাত সামলে ওঠার ক্ষমতা কতখানি পরিবর্তন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেই হিসেব থেকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন গবেষকরা। কোন মানুষের পক্ষেই দেড়শ বছরের বেশি বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এই বয়সসীমা নিয়ে তর্ক থাকতে পারে, সেটা যদিও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অমরত্ব একটি অসম্ভব আইডিয়া, যার কোন অস্তিত্ব নেই এই পৃথিবীতে।