সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বাড়িতে সাধারণত কো’ন কো’ন হোমিওপ্যাথি ও’ষু’ধ রা’খা যায়? যা বললেন বি’শি’ষ্ট চিকিৎসক

হোমিওপ্যাথি নামক চিকিৎসা পদ্ধতির আবিষ্কারক ছিলেন বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান। অত্যধিক অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার তুলনায় হোমিওপ্যাথিতে ভরসা রাখেন অনেকেই। দৈনন্দিন জীবনের শরীরের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে নেওয়া যেতে পারে হোমিওপ্যাথি ওষুধ। আজ এমন তিনটে হোমিওপ্যাথি ওষুধের গুনাগুন সম্পর্কে বলব যেগুলি আপনাকে যেকোন সমস্যা থেকে চটজলদি আরাম দিতে পারে।

Nux Vomica 30 : হজম গত সমস্যা কিংবা বমি বমি ভাব হলে চোখ বন্ধ করে এই ওষুধ নেওয়া যেতে পারে। এমনিতে এই ওষুধের একটি ডোজই যথেষ্ট। তবে খুব খারাপ পরিস্থিতিতে আধ ঘন্টার ব্যবধানে আরেকটি ডোজ নেওয়া যেতে পারে। ওষুধ খাওয়ার পর ঘুমোনো জরুরি। নাক্স ভোমিকা ঘুমের ওষুধ হিসেবেও খুব ভালো কাজ করে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তরল ওষুধের এক ফোঁটা আধ কাপ জলে দিয়ে এক চামচ খেয়ে বাকিটা ফেলে দিতে হয়।

Magnesia Phosphorica 6x : সব ধরনের ব্যথার যম এই ওষুধ। মাথায় হোক বা পায়ে, দাঁতে হোক বা কানে, এই ওষুধ অব্যর্থ। চারটি ট্যাবলেট খেয়ে আধ কাপ গরম জল বা গরম চা বা গরম দুধ খেতে হবে। পিরিয়ডের পেটব্যথায় 6-8টি ট্যাবলেট একইভাবে তরল পানীয়ের সঙ্গে খেতে হবে। প্রয়োজনে দিনে দুবার খাওয়া যেতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও 4টি ট্যাবলেট একবারে খাওয়াতে হবে। ফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

Arnica Montana 200 : চোটের কারণে আঘাত কিংবা পা মচকে গেলে সেই আঘাতের উপশম হিসেবে এই ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনে একবার পরপর দুইদিন অথবা তিনদিন এই ওষুধ নেওয়া যেতে পারে। ব্যথার জায়গায় Arnica ক্রিম ও জেল লাগানো যেতে পারে। তবে রক্তপাত হলে অবশ্য সেখানে এই ওষুধ লাগানো যাবেনা। সে ক্ষেত্রে এক ফোঁটা ওষুধ ড্রপার মারফত সরাসরি জিভে দিয়ে দিতে হবে।