শখ পূরণে মানুষ কত কিই না করে, কেউ শরীরে ট্যাটু করান, কেউ চুলে কালার করান, কেউ বা আবার সুন্দর হতে সার্জারিও করান৷ অনেকে আবার লিঙ্গ পরিবর্তনও করেন৷ আর বর্তমান ফ্যাশন দুনিয়ায় ট্যাটু হল একটা সুপার ট্রেন্ড। কমবেশি প্রতিটি ব্যক্তিরই এই ট্যাটুর প্রতি বিশেষ ঝোঁক রয়েছে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে খুবই জনপ্রিয় এই ট্যাটু শিল্প।
সে বিরাট কোহলি হোক, বা মিমি চক্রবর্তী, খেলোয়াড় থেকে সিনেমার তারকা, কমবেশি সকলেই ট্রেন্ড বজায় রাখতে ট্যাটুতে মজেছেন। তবে বিশ্বের যে কোনও ব্যক্তি অনেক চিন্তাভাবনা করে তবেই একটি ট্যাটু তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ডিজাইন সম্পর্কে আগে থেকে যত্নশীল হওয়া খুব জরুরি।
কারণ স্থায়ী ট্যাটু যেহেতু এমন একটি জিনিস যা সারাজীবনের জন্য কারও সঙ্গে থাকে, তাই ট্যাটু ভুল হয়ে গেলেই বিপদ। তবে ট্যাটু করাবো বললেই তো হল না, সেক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তবেই ত্বকের কোনোরকম ক্ষতি হবে না, এমনকি সংক্রমণের আশঙ্কাও কমবে।
ট্যাটু করানোর আগে— শরীরের কোন অংশে ট্যাটু করাবেন, কতটা জায়গা জুড়ে করাবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হয়। কারণ এক বার ট্যাটু করানো হয়ে গেলে তা তোলা ভীষণ মুশকিল। আবার চাইলেই বদল করা যায় না। ট্যাটু করানোর আগে অন্তত ১ সপ্তাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে আর তাতেই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
আর্দ্র ত্বক তুলনায় অনেক নরম এবং স্বাস্থ্যকর থাকে, যা ট্যাটু করানোর জন্য পারফেক্ট। ট্যাটু করার আগের রাতে মদ্যপান করা একেবারে উচিত নয় কারণ এতে ট্যাটু করানোর সময় রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, ট্যাটু করার আগের রাতে কফিও এড়িয়ে চলা ভালো।
আরো খবর: ২০২৩ সালের কো’ন মাস আপনার প’ক্ষে বে’শি লাভদায়ক? জানুন রাশি হিসেবে
ট্যাটু করানোর সময় – ট্যাটু করানোর সময় নতুন সুচ অবশ্যই ব্যবহার করতে হয়। আপনার শিল্পী তাই করছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ একই সুচ বার বার ব্যবহার করলে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এমনকি এডসের মতো মারাত্মক রোগের শিকার হতে পারেন আপনি।
ট্যাটু করানোর পর – ট্যাটু করার পর অনেকেরই চামড়ার সমস্যা শুরু হয়। ট্যাটুর জায়গাটিকে অযথা ঘষাঘষি করা একেবারেই ঠিক নয়।অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ সাঁতার কাটা ও গরম জলে স্নান করা ঠিক হবে না। তাই তা এড়িয়ে চলাই ভালো। কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ এড়াতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ট্যাটুর স্থান পরিষ্কার করতে হবে।
পরিষ্কারের সময় সবার আগে অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ট্যাটুর জায়গা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ জল এবং নরম তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত। অনেক সময় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাটুর জন্য উপযোগী ক্রিম বা লোশন লাগাতে হতে পারে।