ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে এখন বর্তমানে রান্নার তেলের দাম অনেক উঁচুতে পৌঁছে গেছে, এই রকম অবস্থার থেকে আমেরিকা আপত্তি জানিয়েছে অপরিশোধিত তেল আমদানিকে নিয়ে। রাশিয়া থেকে যেভাবে অপরিশোধিত তেল আমদানি হচ্ছে সেই বিষয়ে আমেরিকার রুখে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন বিদেশসচিব এন্টনি ব্লিঙ্কন ইতিমধ্যেই রুশ অস্ত্র কেনা নিয়ে যথেষ্ট অখুশি বলেই জানিয়েছেন। ভারত এবং আমেরিকার ২ প্লাস ২ বৈঠক হয়েছে ওয়াশিংটন এবং যার পরেই একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটনে ভারত এবং আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠক হয় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেখা করেন মার্কিন প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক হয় এবং যেখানে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
এরপরে মার্কিন বিদেশসচিব এন্টনী ব্লিঙ্কানকে একটি প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্ন করা হয় যে ভারতের ওপর কি আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রুশ এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনার জন্য?
এই প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন বিদেশ সচিব জানান যে,” ইউক্রেনে রাশিয়া যে কাজ করেছে সে কথা আমরা সবাই আমাদের মাথায় রাখি, আমি সকলের কাছে আবেদন করছি যে তারা যেন কেউ রাশিয়া থেকে কোনরকম অস্ত্র না কেনেন”। এ বিষয়ে চরমভাবে কোন সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়নি।
সর্বপ্রথম চীনে ২০১৪ সালের রাশিয়া থেকে এস ৪০০ কেনার জন্য চুক্তি করেছিলেন এবং তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে একটি আলোচনায় বসে ছিলেন।
দিনের পর দিন চীনের থেকেও ভবিষ্যতের বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে এবং এইরকম সময়ের সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
সমস্ত কিছুর ওপর ভিত্তি করে ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের বদলে পাঁচটি এস ৪০০ কেনার জন্য চুক্তি হয়েছিল। এইরকম একটি সময়ে যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির দিয়ে পড়তে হবে ভারতকে তা কখনো বুঝতে পারেনি ভারত সরকার।
তবে এই সম্মেলনে ব্লিঙ্কন একটি কথা বলেন যেখানে তিনি বলেন যে,” যখন ভারত এবং রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক হয়েছিল সেই সময়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে তাদের একদম ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু বর্তমানে ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তাজনিত যে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার কথা সেটা তৈরি করতে তারা আগ্ৰহী”।