২০১৯ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ভারতের সামরিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় দিন। গতকাল সেই ২০১৯ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারির বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের দুই বছর পূর্তি হলো। পাকিস্তানি সেনাদের পুলওয়ামা হামলার ঠিক ১২ দিনের মাথায় পাকিস্তানের উপর বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারত। সেই দিনটির স্মরণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি টুইট বার্তায় ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনীকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন টুইট বার্তায় লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশের সেনাদের নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে। পুলওয়ামা হামলার ঘটনায় শহীদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন ভারতের বায়ুসেনা বিভাগের দক্ষতাকে কুর্নিশ করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি, কুখ্যাত জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়।
2019 में आज ही के दिन @IAF_MCC ने पुलवामा आतंकी हमले का जवाब देकर नए भारत की आतंकवाद के विरुद्ध अपनी नीति को पुनः स्पष्ट किया था।
मैं पुलवामा के वीर शहीदों का स्मरण व वायु सेना की वीरता को सलाम करता हूँ।@narendramodi जी के नेतृत्व में देश व हमारे जवानों की सुरक्षा सर्वोपरि है।
— Amit Shah (@AmitShah) February 26, 2021
উক্ত হামলার দরুন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৪০ সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। তার পাল্টা জবাব হিসেবে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকে “বাঁদর খতম” করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ঐদিন ভোর ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান বালাকোটে পরপর পাঁচটি ৯০ কিলোর স্পাইস ২০০০ বোমা ফেলে ভারত। পাকিস্তান কিন্তু ভারতের এই পরিকল্পনা আগে থেকে টেরও পায়নি।
তার জন্য অবশ্য বিশেষ কৌশল অবলম্বন করেছিল ভারত। ভারতের বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের কাছে খবর পৌঁছেছিল “বাঁদর খতম”। “বাঁদর” বলতে পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের কথা ভেবেছিল। যার ফলে খুব সহজেই পাকিস্তানি গোয়েন্দা বিভাগকে ভুল পথে চালিত করতে পেরেছিল ভারত। ওই ঘটনার দ্বিতীয় বর্ষ পুর্তিতে এমনই সব গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে।