সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গঙ্গাসাগরে টর্নেডোর তা’ন্ড’ব, কপিলমুনির আশ্রমের আশপাশ পরিণত হলো ধ্বংস’স্তূ’পে

একের পর এক টর্নেডো আছড়ে পড়ছে এই বাংলায়। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের তাণ্ডবেই রীতিমতো লন্ডভন্ড হয়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রম সংলগ্ন এলাকা। রবিবার মধ্যরাত থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছিল। গত সোমবার থেকেই সারা রাজ্য জুড়ে একনাগাড়ে বৃষ্টিপাত চলছে। একইসঙ্গে বয়ে যাচ্ছিল ঝোড়ো হাওয়া। এরই মধ্যে আবার টর্নেডো এসে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছে।

এদিন টর্নেডোর এমন দাপট ছিল যে সাগরে পঞ্চায়েত সমিতির গঙ্গাসাগর সি ব্রিজের কাছে একাধিক গাছ ভেঙ্গে পড়ে। কপিলমুনির আশ্রম সংলগ্ন এলাকার বেশকিছু কটেজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এই টর্নেডো যেন রীতিমতো হাতির শুঁড়ের মতো আছড়ে পড়ে এলাকার উপর। এতে এলাকার বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টর্নেডোয় তছনছ হওয়া কটেজ।

বেশ কয়েকটি বাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। গাছও ভেঙে পড়েছে। সাগরের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুদীপ্ত মণ্ডল খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। মোট ৩৭টি টিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ঝড়ের প্রভাবে চারটি দোকান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ি এবং দোকান মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

সাগরের কপিল মুনির মন্দির থেকে সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার রাস্তায় আচমকা টর্নেডো দেখতে পান স্থানীয়রা।

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির কলাবনীতেও সম্প্রতি টর্নেডো ঝড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল। বৃষ্টিপাতের মাঝেই আচমকা ঝড় শুরু হয় বলে জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। যদিও ঝড়ের কারণে এদিন হতাহতের কোনো খবর মেলেনি। ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকা ঘুরে দেখেছেন।