সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আ’বা’র টর্নেডো বাংলায়, এ’বা’র হলদিয়া

ঘূর্ণিঝড়, বন্যার থেকেও পশ্চিমবঙ্গবাসী এই মুহূর্তে টর্নেডো নিয়ে অধিক চিন্তিত। সেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় থেকেই কার্যত বাংলার ওপর টর্নেডোর দাপট শুরু হয়েছে। হাওড়া, অশোকনগরের পর এবার ফের টর্নেডোর সাক্ষী থাকলো বাংলা। এবার হলদিয়াতে টর্নেডো ঝড়ের সম্মুখীন হলেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। হলদিয়া বন্দরের অদূরে হুগলি নদীতে নয়াচর সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার বিকেলে আবার টর্নেডো ঝড় হতে দেখা গেল।

তবে হুগলি নদীতে উৎপন্ন এই টর্নেডো কিন্তু স্থলভাগের আসার আগেই দুর্বল হয়ে যায়। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। শুক্রবার হলদিয়া বন্দরের টাগ জেটি থেকে বন্দরের কর্মীরা এই টর্নেডো ঝড়টিকে দেখতে পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, একনজরে এই ঝড়টিকে দেখে মনে হচ্ছিল ঘন মেঘলা আকাশ থেকে যেন বিশাল কালো রংয়ের শুঁড় নেমে এসেছে!

এই টর্নেডোর প্রভাবে হুগলি নদীর জল ফুলে-ফেঁপে ওঠে। নদীর জল পাক খেতে খেতে অনেকটা উপরে উঠে যায়। প্রসঙ্গত এদিন টর্নেডোর পাশ দিয়েই বন্দরগামী তেলের জাহাজ আসছিল। তবে সেই জাহাজটি অবশ্য ঝড়ের সংস্পর্শে আসেনি। তবে খবর শুনে স্বভাবতই বন্দরের কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বহু মানুষ এলাকায় ভিড় জমান ঝড় দেখবেন বলে!

ঘনঘন এমন টর্নেডো হওয়াতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। তবে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এতে অস্বাভাবিকতা কিছু দেখছেন না। তাদের দাবি জুন-জুলাই মাসে নাকি এমনটা হয়ে থাকে। বায়ুমণ্ডলের উপরের ও নীচের স্তরের মধ্যে বায়ুচাপের তারতম্য হলে এই ধরনের টর্নেডো ঝড় হতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।