সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এটি আ’ত্মহ’ত্যা নয়, মেয়েকে হ’ত্যা করেছে সাগ্নিক! থানায় ডায়েরি করলেন পল্লবীর বাবা

পল্লবীর মৃত্যু মামলা নিয়ে প্রথম থেকেই পল্লবীর বাবা নীলু দের দাবি করেছেন, তার মেয়েক খুন করা হয়েছে। মেয়ে যে এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে তা বিশ্বাস করতে পারছেন না পরিবার। বাবা আরও বলেন, মেয়ে একটুতেই রেগে যেত কিন্তু তাই বলে আত্মহত্যা তা কোনওমতেই সম্ভব নয়।

তিনি বলেছেন, সাগ্নিক বিবাহিত, নিজের বউ থাকা সত্বেও সাগ্নিক পল্লবীর সঙ্গে লিভ-ইন করত, তা পুরোটাই জানত সাগ্নিকের পরিবার। সাগ্নিক নাকি রেগে গেলেই পল্লবীকে মারধর করত। এমনকী মেয়ের গায়ে মারধরের চিহ্নও দেখেছেন পরিবার ও সহকর্মীরা। নিত্য নৈমিত্তিক বিবাদ লেগেই থাকত তাদের মধ্যে।

তবে শনি ও রবিবার কী এমন হয়েছিল যে মৃত্যুর পথ বাছতে হল পল্লবীকে তা এখনও ধোঁয়াশা। পল্লবীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেছে এটি আত্মহত্যা। সূত্রের খবর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেছেন। যদিও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ তদন্তকারীরা। লিভ-ইন সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

আরো পড়ুন: Raw-তে কাজের ই’চ্ছে আ’ছে? কিভাবে নিয়োগ হয় জেনে নিন

গড়ফা থানাতেই সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত গড়ফা থানায় জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয় সাগ্নিককে। পল্লবীর পরিবার গড়ফা থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনেছে। একাধিক তরুণীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল সাগ্নিকের। এবং তা নিয়ে চলত দিনরাত অশান্তি।

পরকীয়ার সম্পর্ক বজায় রাখতেই নাকি অভিনেত্রী পল্লবীকে খুন করেছেন তার লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক, এবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ গড়ফা থানায় দায়ের করলেন মৃত অভিনেত্রীর বাবা নীলু দে। তিনি লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, এই খুনের নেপথ্যে অভিনেত্রীর লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করাই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য।

গরফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিনেত্রীর বাবা ও মা। তাদের পরিবারের আইনজীবীও উপস্থিত ছিলেন এদিন। পল্লবীর সঙ্গে সাগ্নিকের সম্পর্ক নিয়ে ক্রমশ জলঘোলা হচ্ছে। অভিযোগে জানানো হয়েছে, পল্লবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে বিবাহিত ছিলেন সাগ্নিক। নিজের পুরোনো বিবাহিত সম্পর্কের পাশাপাশি নতুন সম্পর্কে জড়ান সাগ্নিক।

আরো পড়ুন: পুরুষ সে’জে’ই রয়েছেন ৩০ বছর ধ’রে! মেয়েকে মানুষ করতে মায়ের অনবদ্য জীবন সং’গ্রা’ম

সাগ্নিক যে বিবাহিত ছিল তা জানতও না পল্লবী। অনেক পরেই বিষয়টি জানাজানি হয়। এখানেই শেষ নয়,পল্লবী না থাকলেই এক মহিলা নাকি অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে আসত। পল্লবীর অনুপস্থিতিতে যে মেয়েকে গড়ফার গাঙ্গুলী বাগানের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসত সাগ্নিক তিনি নাকি পল্লবীর বান্ধবী।

এই কথা পল্লবী জানতেই তাদের মধ্যে প্রচুর অশান্তিও হয়েছিল। পল্লবীর সঙ্গে লিভ-ইনে থেকেও একাধিক পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল সাগ্নিক? প্রিয়জনের এহেন নোংরামি সহ্য করতে না পেরেই কি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন পল্লবী? রহস্য জট ক্রমশ জটিল হচ্ছে।