সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সুস্থ ও মন ভা’লো রাখতে অনুকূল ঠাকুরের এই বা’ণী আপনাকে নতুন প’থ দে’খা’বে

আমাদের ভারতে বিশেষ করে এপার বাংলা ও ওপার বাংলার মানুষ ধর্মে ভীষন বিশ্বাস করেন। আমরা প্রায়ই দেখে থাকি একটু বয়স্ক কাকিমা জেঠিমারা, বা ঠাকুমাদের দীক্ষা নিয়ে থাকতে। তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় তারা কোনো একটা ঠাকুরের দীক্ষায় দীক্ষিত। আর বাংলায় প্রধানত যে ধর্মগুরুর কথা বেশি শোনা যায় তিনি হলেন সকলের প্রিয় অনুকূল ঠাকুর। তিনি সত্যনিষ্ঠা, সৎকর্ম এবং দীক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে তিনি মানুষের আত্মিক উন্নতির চেষ্টা করেছেন।

তার প্রকৃত নাম অনুকূলচন্দ্র চক্রবর্তী। ১৮৮৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার হেমায়েতপুরে জন্মগ্রহণ করেন অনুকূল চন্দ্র চক্রবর্তী। তিনি পেশায় একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ছিলেন। তিনি মানুষের সেবা করতে গিয়ে বুঝেছিলেন মানুষের শুধু শরীরের নয় মনের অসুখ আছে আর তাই তিনি মনের চিকিৎসা করার কথা ভাবেন। কারণ তিনি মনে করতেন যে মন সুস্থ থাকলে শরীর সুস্থ থাকবে। এছাড়াও মানুষের আত্মিক উন্নতির জন্য তিনি কীর্তনদল গঠন করেন।

এই কীর্তনের মাধ্যমে তিনি মানুষের মধ্যে চেতনার বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করেন। এই কীর্তনদলের মধ্য দিয়ে তিনি কিছু উপদেশ দেন, যা বই আকারে প্রকাশিত হয়। তাঁর এই বই অসংখ্য মানুষ পড়তে শুরু করেন। বুঝতে পারেন তার মহিমা, আর তারপরই তাঁকে সকলে মান্যতা দিতে শুরু করেন। অন্ধভক্ত হয়ে ওঠে কত শত মানুষ। তাকে সকলে ‘ঠাকুর’ বলে সম্বোধন করতে শুরু করেন।

আরো পড়ুন: কে হচ্ছেন গুজরাটের নতুন মুখ্যমন্ত্রী? আর গো’প’ন রাখলেন না অমিত শাহ

মানুষের মন শুদ্ধিকরণ করে তাঁকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করতে শুরু করেন তিনি। তবে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল সকলের মধ্যে এই একই বানী প্রচার করা। আর তাই এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য তিনি পাবনায় সৎসঙ্গ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এছাড়াও নানা জায়গায় বর্তমানে তাঁর আশ্রম রয়েছে। প্রতি শুক্রবার তার পূজা হয় ধুম ধাম করে। ভক্তরা এই দিন নিরামিষ ভোজন করেন। এছাড়াও নানা জনকল্যাণ মূলক কাজ করে গেছেন তিনি। তার কিছু বাণী জীবনে মানুষের মত মানুষ হতে সাহায্য করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক তার কিছু বাণী।

১. অনুকূল ঠাকুর বলে গেছেন, কেউ যদি তোমার নিন্দা করে করুক, কিন্তু খেয়াল রেখো, তোমার চলন চরিত্রে নিন্দনীয় কিছু যেন কোনও ক্রমেই স্থিতিলাভ করতে না-পারে। নিন্দা ব্যর্থ হয়ে উঠবে।

২. কারও সাহায্য যখন তুমি না-পাও, তখন পিতার কাছে যাও। তাঁর সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে তোমাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকবে। কৃতজ্ঞতা বোধ তাকতে হবে, নচেৎ অমানুষ সেই সন্তান।

৩. যদি সাধনায় উন্নতি লাভ করতে চাও, তবে কপটতা ত্যাগ করুন।

৪. কপট ব্য়ক্তি অন্যের কাছে সুখ্যাতির আশায় নিজেকে নিজেই প্রবঞ্চনা করে। অল্প বিশ্বাসের দরুণ অন্যের দান হতেও প্রবঞ্চিত হয়।

৫. কারও সাহায্য যখন তুমি না-পাও, তখন পিতার কাছে যাও। তাঁর সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে তোমাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকবে। কৃতজ্ঞতা বোধ তাকতে হবে, নচেৎ অমানুষ সেই সন্তান।