সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এইসব ল’ক্ষ’ণ জানিয়ে দে’বে যে আপনার শ’রী’রে ভিটামিন-K-র অ’ভা’ব দেখা দি’তে শু’রু করেছে

শরীর রক্তক্ষরণ হলে ভিটামিন k রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এছাড়া হাড়ের গঠনে সাহায্য করে এই ভিটামিন। দেহের অতিরিক্ত গ্লুকোজ গ্লাইকোজেন হিসেবে লিভারের জমা রাখে এবং ক্যানসারের কোষ গঠনে বাধা দেয় ভিটামিন k। ভিটামিন k এসেনসিয়াল ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন। এছাড়া আরো অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে আমাদের শরীরে ভিটামিন কে র। সঠিকভাবে কাজ করার জন্য আমাদের দেহের অভ্যন্তরীণ পুরো ক্রিয়া-কলাপ কে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য এই ভিটামিনের প্রয়োজন।

ভিটামিন কে এর গুরুত্ব: পনির, মাংস, ডিম ইত্যাদির মত খাদ্য থেকে পাওয়া যায় এই ভিটামিন। মূলত শিশুদের মধ্যে এই ভিটামিনের ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। তবে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে এই ভিটামিনের অভাব খুব কমই লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময় হৃদরোগের কারণ হতে পারে এই ভিটামিনের অভাবে। কয়েকটি লক্ষণ আছে যা দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার শরীরে এই ভিটামিন আছে কি নেই।

হাড় ভেঙে যাবার ভয়: ভিটামিন কে এর ঘাটতির কারণে হাড়ের ঘনত্ব দুর্বল হতে পারে। হাড় ভেঙে যায় অথবা ফাটল ধরে যায় এর কারণে। এছাড়া ভিটামিন কে এর ঘাটতির কারণে জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা ও শুরু হয়। এছাড়াও পরবর্তীকালে অস্টিওপোরেসিসের অবস্থায় পরিণত হয়ে যেতে পারে।

পেশিতে টান: অনিয়ন্ত্রিত সংকোচন পেশীগুলিতে দেখা দিতে পারে। রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকলে এটি হতে পারে।

হার্টের অসুখ: শরীরে ভিটামিন k র অভাব হলে হার্টের কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এটি ক্যালিকিফিকেশনের সমস্যা বাড়ায়। হঠাৎ হার্ট বিট বেড়ে গেলেও পটাশিয়ামের ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়।

দাঁত আছে তার মাড়ির সমস্যা: প্রায় যদি দাত অথবা মারি থেকে রক্তক্ষরণ হয় তাহলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা: মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। তবে এই ব্যথা যদি বেশি হয় তাহলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, ভিটামিন-কে না থাকায় উর্বরতা সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বাচ্চাদের জন্য বিপদজনক: গর্ভাবস্থায় অথবা প্রসাবের সময় অনেকে শিশুদের পরীক্ষা করে নেন। ভিটামিন-কে ইনজেকশন দেওয়া হয় অনেক সময়। কোন শিশুর যদি ভিটামিন কে এর ঘাটতি থাকে, তাহলে রক্ত ক্ষরণ জনিত রোগ হতে পারে।

যদি আপনি ভিটামিন কোন লক্ষণ দেখতে পান তাহলে ডায়েট এর মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। দই, কাঁচা পনির, সবুজ শাকসবজি গ্রহণ করতে হবে আপনাকে।