কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ম মেনে কসাই খানা তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল। যার মধ্যে নবদ্দীপ কেউ রাখা হয়েছিল। কিন্তু এবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, কোনভাবেই নবদ্বীপ শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মভূমিকে কসাইখানা বানানো যাবেনা।
কসাই খানা তৈরি করার জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে যে স্হানীয় পুরসভায় অর্থ পাঠানো হয়েছিল, সেটাও ইতিমধ্যে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার নথি কলকাতা হাইকোর্টে জমা করা হয়েছে।
একেবারে নিয়ম মেনে পুরসভার অনুমতি নিয়েই কসাইখানা তৈরি করতে চেয়েছিল কেন্দ্র। মোটকথা বিনা কারণে যেন কোনোভাবেই পশুহত্যা না হয় সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
আরো পড়ুন: ছেলেদের বু’কে চুল থা’কা’র অ’র্থ জানেন কি? না জা’ন’লে প’রে আফসোস করবেন!
সমস্ত কিছু হয়ে যাওয়ার পর, সবদিক থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়ার পরেই কেন্দ্র প্রত্যেক পুরসভাকে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিল। প্রত্যেক কসাইখানা একজন পশু চিকিৎসক রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
বরাদ্দ টাকা, কসাইখানা তৈরিতে ব্যয় করার স্বার্থে টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সেই কসাইখানা যখন নবদ্বীপে হবে বলে জানা যায় তখন আদালতের কাছে জনস্বার্থ মামলা করা হয়। আর সেখানেই হস্তক্ষেপ করে আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারের আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান, নবদ্দীপ শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মভূমি এখানে কোনো ভাবেই কসাইখানা তৈরি করা যাবে না। শেষ পর্যন্ত এই কথার বিরোধিতা করে না কেন্দ্রীয় আইনজীবী। আর সেই কারণেই রাজ্যের কথামতোই সীলমোহর লাগানো হয় তাদের সিদ্ধান্তে।