সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গোটা জে’লা কাঁদার নী’চে, হিমালয়ের কো’লে হরপা বাণ, ভ’য়া’ব’হ অ’ব’স্থা নেপালের

নেপালের মেলামেচি এবং ইন্দ্রাবতী নদীতে হঠাৎ করে বন্যা চলে আসাতে ওই অঞ্চলের একাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, বন্যার পাশাপাশি এলাকায় ধস নেমে বহু মানুষ বর্তমানে নিখোঁজ। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭ জনের। পাশাপাশি, বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে শতাধিক মানুষের। সঠিক সময়ে যারা খবর পেয়েছিলেন, তারা পাহাড়ের উপর উঠে কোনরকমে নিজেদের প্রাণ টুকুই বাঁচাতে পেরেছেন।

যারা খবর পাননি, তারা আগে থেকে সতর্ক হতেও পারেন নি। শোনা যাচ্ছে, মেলামচি বাজার এলাকাতেই প্রায় ২০০ টি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার জলের তলায় চলে গিয়েছে বহু বাড়ি এবং সম্পত্তি। মেলামেচি পানীয় জল প্রকল্পে যারা কাজ করছিলেন তাদের মধ্যে থেকে আটজন কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যারা কোনরকমে প্রাণ বাঁচাতে পেরেছেন তারা স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।

তারা তবু সময়মতো খবর পাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসনের হিসাবে এখনও পর্যন্ত সাত জনের নিশ্চিত মৃত্যুর হয়েছে। মেলামচি পানীয় জল প্রকল্পের অন্তত আট জন কর্মী নিখোঁজ। শুধু মেলামচি বাজার এলাকাতেই প্রায় ২০০ টি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যার কারণে ঘরবাড়ি ও সম্পত্তি হারিয়েছেন শতাধিক পরিবার। তাঁরা স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।

মেলামচি বাজারের পাশাপাশি তিম্বু বাজার, তালামরঙ্গ বাজার, চানৌত বাজার এলাকা বর্তমানে বন্যার জলের তলায় চলে গিয়েছে। নেপালের সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী এবং নেপাল পুলিশ বর্তমানে কাদামাটির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকেই উদ্ধারকাজ চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। উচ্চ পাহাড়ি এলাকায় অতি ভারী বর্ষণের কারণে হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে নেপালের এই অংশ, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তিব্বতের সীমান্তবর্তী উচ্চ উঁচু অঞ্চলের কোনও হিমবাহ ফেটে গিয়ে থাকতে পারে। যে কারণে আজ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, হিমবাহের ঠিক করে অবস্থিত নেপালে ভবিষ্যতে আরও এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।