সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ক’রো’না’র তৃতীয় ঢে’উ সীমাবদ্ধ থাকবে সর্দি-কাশিতেই! টি’কা’ক’র’ণে’র নি’য়’ম মানলেই কেল্লাফতে

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কোনো রকমের সামলে উঠছে ভারতবর্ষ। দৈনিক সংক্রমণ এখন আগের তুলনায় অনেকটাই নিচে। তবে শীঘ্রই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে ভারতবর্ষে। তবে আশা একটাই। টিকাকরণ চলছে জোড় কদমে। ডিসেম্বর মাসের আগে সরকার যে সারা দেশের মানুষকে টিকাকরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা যদি সত্যি হয় তাহলে করোনার তৃতীয় ঢেউ হয়ে মানুষের শুধু সর্দি কাশির লক্ষণেই করোনা সেরে যাবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন প্রখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠি।

তবে এর জন্য অবশ্য তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকে জোর দিচ্ছেন। দেবী শেঠির মতে যদি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে করোনার প্রকোপ কমাতে হয় তাহলে বর্তমানে যে দেশজুড়ে ভ্যাকসিন ঘাটতির অবস্থা হয়েছে তা দ্রুত মেটানো দরকার। তার মতে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিন কিনে নিয়ে পরে তা নির্ধারিত মূল্যে বেসরকারি হাসপাতালে বিক্রি করা। পাশাপাশি বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন কিনে ভ্যাকসিনের ঘাটতি কমানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।

পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে টিকাকরণের কথা বলেছেন তিনি। আবার ভ্যাকসিন সরবরাহ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই তা ব্যবহার হয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এতে ভ্যাকসিন নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে। সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘন্টা টিকা প্রদান কর্মসূচী চলা প্রয়োজন বলে মনে করেন দেবী শেঠি। তার মতই একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স প্রতি মিনিটে ৭ জন ব্যক্তিকে টিকা দিতে পারেন। অতএব এই গতিতে এগোলে দৈনিক এক কোটি মানুষের টিকাকরণ অসম্ভব কিছু নয়।

বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও বিনামূল্যে টিকাকরণ পরিষেবা চালু করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যদি টিকা পিছু ১০০-১৫০ টাকা করে দেয় তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে। আবার সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিরা যদি মনে করেন টিকার ক্ষেত্রে অনুদান দেবেন, তাদেরও এগিয়ে আসা উচিত। সর্বোপরি অফিস, অনুষ্ঠান এবং গন পরিবহনের ক্ষেত্রে যদি ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়, তাহলে যারা টিকা নিতে চাইছেন না, তারাও টিকা নেবেন। এমনটাই পরামর্শ দেবী শেঠির।