সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নি’য়ো’গ মা’ম’লা’য় চাঞ্চল্যকর মো’ড়, নতুন করে TET প’রী’ক্ষা নেওয়ার নি’র্দে’শ

শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা নিয়ে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি আরো বাড়লো। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ফের আরেকবার TET পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ পেল রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশিকা অনুসারে রাজ্যে যারা D.Led শেষ করেছেন, কিন্তু ২০১৭ সালের TET পরীক্ষায় বসতে পারেননি তাদের আরো একবার চাকরির পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। এই মর্মে রাজ্যের অন্ততপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ হাজার প্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থী TET পরীক্ষার বসার সুযোগ পেতে চলেছেন।

এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আব্দুর নাজির ও বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির ডিভিশন বেঞ্চ এমন রায় প্রদান করেছে। একইসঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে উচ্চ আদালত। আইনজীবী আলী আহসান আলমগীর জানিয়েছেন যে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আব্দুর নাজির ও বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে প্রদত্ত নির্দেশিকা অনুসারে ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যেই নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলতে হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার নির্দেশিকা অনুসারে চলতি বছরের ৩১শছ জানুয়ারি রাজ্যে প্রাথমিকের TET বা টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট দিয়েছিলেন আড়াই লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার (TET) ফল প্রকাশ দুর্গাপূজার মধ্যেই করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে ২০১৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসে আছেন তারাও এই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেতে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

তাদের দাবি ছিল, এনসিটিইর নির্দেশিকা অনুসারে প্রতিবছর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হওয়া উচিত। অথচ ২০১৭ সালের পর থেকে রাজ্যে পরীক্ষা হয়নি। ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ফর্ম ফিল আপ সেই বছরই হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই পরীক্ষা হচ্ছে ২০২১ সালে। তাহলে এই চার বছর যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং পরীক্ষায় বসার যোগ্য তারাও কেন পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন না? প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। উচ্চ আদালতের রায় চাকরি প্রার্থীদের পক্ষেই গেল।