থাইল্যান্ডের পুলিশ এক ২৩ বছর বয়সী তরুণী অলিভ অরণ্যা অ্যাপাইসোকে কড়া ওয়ার্নিং দিয়েছে কারণ সে কাজের সময় লো কাট টপ পরে। ব্যাপারটা খুবই পরিষ্কার, ওই তরুণী একজন প্যানকেক বিক্রেতা এবং সে অদ্ভুত পোশাক পরে প্যানকেক বিক্রি করে। আর সেই কারণেই আশপাশের লোকজনের খুব অসুবিধা হচ্ছে। এই ঘটনাই পুলিশে অভিযোগ করেছিল এক ব্যক্তি।
অলিভ অরণ্যা অ্যাপাইসো নামে ওই তরুণীর দোকান থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই নামের একটি শহরে। শুক্রবার পুলিশ তার দোকানে গিয়ে তার পরিহিত পোশাক দেখে অবাক হয়ে যায়। কারণ সে খুব ছোট একটা টপ পরেছিল, যেখান থেকে তার শরীরের অনেকটা অংশ দেখা যাচ্ছিল। এ বিষয়ে পুলিশ অ্যাপাইসোকে জিজ্ঞাসা বাদ করে, কিন্তু অ্যাপাইসো যা উত্তর দেয় তা শুনতে পুলিশও বোধ হয় প্রস্তুত ছিলেন না।
এ প্রসঙ্গে অ্যাপাইসোর বক্তব্য, সে একজন নার্সিং ছাত্রী এবং পার্টটাইম প্যানকেক বিক্রির কাজ করে। প্রথমদিকে তিনি যখন সাধারণ পোশাক পরে প্যানকেক বিক্রি করতেন, তখন তার দোকানে এত ভীড় হত না। কিন্তু একদিন সে তার বন্ধুর একটি লো কাট টপ পরেছিলেন, আর সেদিন থেকেই তার দোকানের বিক্রি আগের থেকে বাড়তে শুরু করে।
অ্যাপাইসো পুলিশকে আরও বলেন, আগে তিনি মাত্র ৩০ বাক্স প্যানকেক বিক্রি করতে পারতেন। কিন্তু এই ধরনের টপ পরার পর থেকে তার বিক্রি বেড়ে গেছে চার গুণ। এখন তার স্টলে মানুষের ভিড় উপচে উপচে পড়ে। শুধু তাই নয়, লোকেরা তার সাথে সেলফি তুলতে চায়।
কিন্তু স্থানীয় কিছু মানুষের অ্যাপাইসোর এই কাজ একেবারেই পছন্দ নয়, তাই তারা থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর অ্যাপাইসোকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশ হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে তাকে যদি আবার এসব করতে দেখা যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শেষমেষ তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এমনিতেই থাইল্যান্ডের ছেলে মেয়েদের সাজ পোশাক নিয়ে অনেক বেশি রেস্ট্রিকশন আছে। এই বিষয়টি জানাজানি হতেই চ্যাং ফুয়েক জেলা পরিষদের অফিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “চিয়াং মাই একটি সাংস্কৃতিক শহর এবং মানুষ সেখানে এমন কোনো কাজ করতে চায় না। এতে শহরের নাম কলঙ্কিত হবে। আমরা মেয়েটিকে বুঝিয়েছি যে সে যেন এই বিষয়টির খেয়াল রাখে। তা নাহলে পরবর্তীকালে আবার সে বিপাকে পড়বে।”