সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রোগীর পে’ট তো না যেনো সোনার খ’নি! বেরিয়ে এলো আংটি-কানের দুল, হ’ত’বা’ক চিকিৎসকরা

অসহ্য পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ডাক্তারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। পেটে ব্যথার কারণ হিসেবে তিনি বারবার হার্নিয়ার যন্ত্রণার কথা বলছিলেন। তবে রোগীর কথা না শুনে রোগীর পেটের এক্সরে করাতেই পেটে ব্যথার আসল কারণ জানা গেল। পেটে ব্যথার আসল কারণ প্রকাশ্যে আসতেই ডাক্তারের চক্ষুচড়কগাছ হওয়ার জোগাড়! রোগীর পেটে যে সোনার খনি!

বিশ্বাস না হলেও এমনটাই সত্যি। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকে। কর্নাটকের একটি সোনার দোকানে কাজ করতো শিবু ও ম্যাথু নামের দুই যুবক। যে দোকানে তারা কাজ করতো সেই সোনার দোকান থেকে বারংবার চুরির ঘটনা ঘটতো। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তল্লাশিও চালিয়েছে বহুবার। তবে কার্যত কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি তারা।

পারবেই বা কি করে? আসলে ওই দুই যুবক ঘরে সোনার অলংকার লুকিয়ে রাখত না। তারা সোনার আংটি কিংবা কানের দুল প্যাকেটে মুড়ে তা গিলে ফেলত। পরে বিশেষ উপায় বের করে আনত সেই অলংকার। তবে হালফিলে এমন টা করতে গিয়ে কার্যত বিপদে পড়ে যায় শিবু। চরম পেটে ব্যথা শুরু হয়ে যায় তার।

এরপর ডাক্তারের দ্বারস্থ হতে সম্পূর্ণ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। অস্ত্রপচারের মাধ্যমে শিবুর পেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩০টি সোনার আংটি এবং কানের দুল! যার ওজন প্রায় ৩৫ গ্রাম। ঘটনার পর দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন যাবৎ তারা সোনার দোকান থেকে এইভাবে অলংকার চুরি করে পাচার করেছে। এতদিনে তাদের হাতে নাতে ধরা সম্ভব হল।

ওই দুই যুবকের এমন কাণ্ড দেখে তাজ্জব চিকিৎসকেরা এবং পুলিশ। পুলিশের জেরার মুখে পড়ে শিবু স্বীকার করে নেয় যে সোনার অলংকার পাচার করতেই সে প্যাকেটে আংটি এবং কানের দুল ভরে আইসক্রিম দিয়ে গিলে ফেলেছিল। এরপর রাতের দিকে তার পেটে তীব্র যন্ত্রনা শুরু হয়। তারপর বিষয়টি জানাজানি হতেই আপাতত শ্রীঘরে ওই দুই যুবক।