বেশ কিছু বছর যাবত ভারতবর্ষের সহ বিভিন্ন প্রগতিশীল দেশে ধর্ষকের সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। চলতি বছরেই ভারতবর্ষে একটি আইন চালু করা হয়েছিল,যাতে বলা হয়েছে যে কোনোভাবে ধর্ষকের অপরাধ প্রমাণিত হলে তার জন্য একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।এবার ভারতের দেখানো পথে হাঁটল পাকিস্তান। সোমবার একটি সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান যে,”ধর্ষণের এক এবং একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত পুরুষাঙ্গ কর্তন। সারাদেশে যে ভাবে যৌন হিংসা বাড়ছে, তার ফলে সমাজব্যবস্থাকে আর পাল্টানো দরকার নেই তার বদলে যদি এই চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া যায় তাহলে অবশ্যই আগে থেকে ধর্ষণ অনেকাংশে কমে যাবে”।তবে ইমরান খানের এই মন্তব্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কেউ কেউ বলছেন যে, একজন দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে কিভাবে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমাধান দিতে পারেন? আবার অনেকে বলছেন যে, এমন শাস্তি হয়তো পাকিস্তানি সম্ভব।
তবে এই সমস্ত কথোপকথন এর উৎস হল এটি নারকীয় ঘটনা।গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে একজন তরুনী লাহোর থেকে গুজরানওয়ালা প্রদেশ যাচ্ছিলেন। হাই বাড়িতে হঠাৎ করে তেল শেষ হয়ে যাবার পর তিনি যখন স্বামিকে ফোন করছেন, পুলিশের সাহায্য খুঁজছেন,ঠিক তখনই সেখানে দুই যুবক এসে সন্তানের সামনে মহিলাকে ধর্ষণ করে।দর্শন করার পর মহিলা সঙ্গে থাকা কার্ড এবং টাকা কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ উল্টে দেয় ওই ধর্ষিতা মহিলাকে, কেন এত রাতে একা রাস্তায় বেরিয়েছেন ওই তরুণী, এই বলে দোষারোপ করা হয় তাকে।
Imran Khan Govt wants to send a clear message to society & world at large that it’s serious in fighting the scourge of gang rapes & pedophilia; we withheld this comment for several hours & are releasing it after we ascertained that it’s not said just in anger but means business! pic.twitter.com/Nq2IDo071I
— Moeed Pirzada (@MoeedNj) September 14, 2020
এই ঘটনার পর উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা পাকিস্তান। নানা মানবাধিকার সংগঠন পথে নেমে হাজার হাজার পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে।কলকাতা চাপের মুখে পড়ে বৃহস্পতিবার ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পাশাপাশি দুজনের ছবি প্রকাশ হয়।তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে একটু অর্থমূল্য পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই রবিবার ১ অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করলেও সে এখনো অপরাধ স্বীকার করেনি। অবিলম্বে তার ডিএনএ টেস্ট হবে বলে জানা গেছে।এই ঘটনার জেরে বিপুল আন্দোলনকে শান্ত করার জন্য অপরাধীদের এইরকম কড়া শাস্তির বার্তা দেওয়াটা জরুরি ছিল বলে বোঝেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ধর্ষকদের শাস্তি দেবার কথা প্রসঙ্গে তিনি পুরুষাঙ্গ কর্তনের দাবি করে বসেন।