সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হামের আ’ক্রা’ন্তে’র সংখ্যা বা’ড়’ছে দেশজু’ড়ে, উপসর্গ গু’লো কি কি?

দেশে হামের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে গত কয়েক মাসে। এই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। অত্যন্ত সংক্রামক রোগ হাম একটি ভাইরাসের কারণে হয়, যা সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। হাম শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। একে রুবেওলাও বলা হয়। হাম হলে জ্বর আসে এবং গায়ে লাল ফুসকুড়ি দেখা যায়। এগুলিই এই রোগের সাধারণ উপসর্গ। হাম শ্বাসযন্ত্রে শুরু হয়। হাম শুধুমাত্র টিকা দ্বারা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

হাম বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে আজও রয়ে গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১,১০,০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল হামে আক্রান্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ৫ বছরের কম বয়সি শিশু। হামের ভাইরাসটি প্যারামাইক্সোভাইরাস পরিবারের, যা প্রথমে শ্বাসতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং তারপর রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতে হামের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ১১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অত্যন্ত সংক্রামক রোগ হওয়ার কারণে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ থাকে।

আরো পড়ুন: ফে’র কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন দেবিনা, খুশির হা’ও’য়া গুরমিতের পরিবারে

জ্বর হল হামের প্রথম উপসর্গ। এটি ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার প্রায় ১০-১২ দিন পরে শুরু হয়। তারপর ৪-৭ দিন স্থায়ী হয়। একজন ব্যক্তির কাশি, সর্দি, চোখ লাল, গলা ব্যথা এবং মুখের ভিতরে সাদা দাগ হতে পারে। এছাড়া হামের আরেকটি উপসর্গ হল ত্বকের ফুসকুড়ি, যা ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ফুসকুড়ি সাধারণত মাথায় দেখা যায় এবং ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।