সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

যত বে’শি ন’র’মু’ন্ড ততো বে’শি সন্মান, ভারতের কোথায় অবস্থিত এই গ্রাম?

আপনি কি সমাজে নামডাক করতে চান? তাহলে আপনার বাড়িতে কয়টা কাটা মুন্ডু রয়েছে? হিংসা দিন। প্রশ্ন শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। কিন্তু এই প্রশ্ন করলে একটা সময় মানুষ অবাক হয় না, বরং আরো বেশী খুশি হত।কারণ তখন তার বাড়িতে যত বেশী নরমুন্ড, তার সমাজে তত সম্মান বৃদ্ধি হতে। এমনও কি সম্ভব?আজ্ঞে হ্যাঁ এমনি ছিল একটা সময়, ১৯৬০ সালে ভারতের একটি গ্রামে এমন ধরনের অবস্হাই ছিল।

মাত্র গণ্য হয়ে ওঠার নাকি এটাই সামাজিক নিয়ম ছিল সেই গ্রামের। সেই গ্রাম এখন কোথায়? সেই গ্রাম আসলে রয়েছে নাগাল্যান্ডে, সেখানকার গ্রামের নাম লাংওয়া,সেখানে বসবাস করেন কোনিয়াক উপজাতির মানুষ। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৪০০ মিটার উচ্চতায় এই গ্রাম। গ্রামের অবস্হান একেবারে ভারত মায়ানমার সীমার কাছে। এই তো সেদিন পর্যন্ত গ্রামের এক যুবক শত্রুর কাটা মুন্ডু নিয়ে বাড়িতে ফিরছে। গ্রামের সামাজিক অবস্হার সাথে গ্রামের প্রকৃতি মিল খায় না । কারণ গ্রামটি সুন্দর দেখতে, চারপাশে দারুণ সবুজ ঘন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অধিকারী।

এই গ্রামের দূরত্ব ৪২ কিমি, নাগাল্যান্ডের সদর শহর থেকে। গত শতাব্দীর ছয়ের দশকের কথা, যখন তাদের মধ্যে যুদ্ধ বাধত, তখন শত্রুপক্ষের মাথা কেটে নিয়ে আসত গ্রামের মানুষেরা। এটাই ছিল তাদের সম্মান বৃদ্ধির একটি উপায়।

মানুষ এক সময়ে এমন ধরনের নৃশংস ছিল, যার প্রমাণ স্বরূপ এই জাতি। গ্রামের মধ্যে অর্থের পরিমাণ বেশী থাকলে সম্মান বেশী পাওয়া যাবে, সেই নিয়ম ছিল না কখনই। সেখানে একটাই চিহ্ন ছিল যার বাড়িতে যত বেশী কাটা নরমুন্ড তার তত বেশী সম্মান।

আরো পড়ুন: লিংকে ক্লিক করলেই ভার্চুয়ালি টা’কা জমছে! সব হা’রি’য়ে এখন আদালতের দ্বারস্থ

এখানেই শেষ নয়, এই গ্রামের বদনাম রয়েছে আরও। এখানকার মানুষের প্রধান পেশা হল আফিম চাষ ও গাঁজা চাষ। নাগাল্যান্ড সহ মায়ানমারের মাদক চাহিদা থাকায়, অনেকেই বলে যে অধিকাংশ কোনিয়াক জাতির মানুষই নাকি মাদক পাচারের সাথে যুক্ত। কিন্তু এই গ্রামের জনপ্রিয়তা একেবারে তুঙ্গে। কারণ রোমাঞ্চ কে না ভালোবাসে?