সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গাড়ি কে’না’র জন্য গ’চ্ছি’ত টা’কা আ’রে’ক’জ’ন ইউটিউবারের চিকিৎসায় দিয়ে দিলেন “দ্যা বং গাই”

ইউটিউবারদের মধ্যে অন্যতম হলেন, দ্যা বং গাই। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ক্রমাগত আমাদের আনন্দ প্রদান করে চলেছেন কিরণ। কিরণ অর্থাৎ কিরণ দত্ত কোন না কোন বিষয় নিয়ে এত অনবদ্যভাবে সকলের মনোরঞ্জন করে আসেন, যা আমাদের চিরকাল মুখে হাসি ফুটিয়ে দেয়। বাঙালি ইউটিউবারদের সাফল্যের নতুন একটি পথ দেখিয়ে দিয়েছে এই বাঙালি। কিরনের দেখানো পথে আজ বহু ইউটিউবার নিজেদের সাফল্য মুঠোয় আনতে পেরেছে।

আজ এই ইউটিউবারের চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় তিরিশ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। তার অভিনয় দক্ষতা কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করেছে বঙ গাই। তবে তাকে ও সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় না তা কিন্তু নয়, অনেক সময় নামিদামি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের উপহাস করতে গিয়ে বিপদের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। যদিও সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে ট্যাকেল করেছেন তিনি।

তবে ভালো সমালোচক হবার পাশাপাশি তিনি একজন অসাধারণ মানুষ। নিজের উপার্জনের বেশ কিছু টাকা তিনি দুঃস্থ মানুষদের দান করে দেন। সুন্দরবনের বিধ্বস্ত মানুষদের সহায়তায় তিনি এগিয়ে এসেছিলেন প্রাণ খুলে। তবে এবারে যা করলেন তা শুনে আপনিও প্রশংসা করতে বাধ্য হবেন। বেশ কয়েকদিন ধরে নিজের গাড়ি কিনার জন্য টাকা জমা করছিলেন কিরণ দত্ত। কিন্তু হঠাৎ করেই খবর পেলেন সতীর্থ ইউটিউবার সুদীপ মান্না ভীষণ ভাবে অসুস্থ।

গুরুতর অসুস্থ সুদীপ অ্যানকলেসিস স্পন্ডিলাইটিস এর মত কঠিন অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন। দ্রুত অস্ত্রপ্রচার না করলে জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে নতুবা হাটা চলার ক্ষমতা চলে যেতে পারে তার। এই অবস্থায় তার দরকার আড়াই লক্ষ টাকা, যা দেবার ক্ষমতা নেই সুদীপের। বাধ্য হয়েই সুদীপ নেট মাধ্যমের সাহায্যে সকলের কাছে আর্জি জানান সাহায্যের। এটি ভিডিওতে নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে সাহায্যের আবেদন করেন তিনি।

ভিডিওটি অন্য সকলের সঙ্গেই দেখেন কিরণ। সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন বন্ধুর পাশে দাঁড়ানোর। কয়দিন পরে গাড়ি কিনলেও চলবে, কিন্তু প্রাণ একবার গেলে আর ফিরে আসবেনা। তাই বন্ধুর পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে বন্ধুর সমস্যার কথা জানিয়ে যথাসম্ভব সাহায্যের আবেদন করেন কিরণ। সেই সঙ্গে নিজের গাড়ি কেনার সমস্ত টাকা দিয়ে দেন বন্ধুকে। ঘটনাটি জানার পর থেকেই দ্যা বং গাই আরো বেশি করে মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে গেল।