সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মেরু প্রদেশের বরফ অ’ন’ব’র’ত গলেই চ’লে’ছে! জলের ত’লা’য় চ’লে যা’বে বেশ কয়েকটি দেশ

বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়নের হার যে মাত্রায় বাড়ছে, তাতে খুব বেশি দিন বাকি নেই পৃথিবীর ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠতে। ২০২১ রীতিমতো চিন্তিত করে তুলেছে বিজ্ঞানীদের। আবারো মেরু বলয়ের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব লক্ষ্য করা গেল সম্প্রতি। তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা যথেষ্ট আশঙ্কায় আছেন এই কথা ভেবে যে, গ্রিনল্যান্ডে একদিনে যে হারে বরফ গলছে তাতে খুব তাড়াতাড়ি বেশ কিছু দেশ ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সেই ১৯৫০ সালে বরফ গলে জল হয়েছিল গ্রিনল্যান্ডে। সেই বছরেই যে বিশাল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছিল তার কথা হয়তো অনেকেরই জানা। তারপরে ২০১২ এবং ২০১৯ সালে বরফ গলন হয়েছিল,যা ছিল সত্যিই চোখে পড়ার মতো। তারপরেই এবছর অর্থাৎ ২০২১। বিজ্ঞানীদের মতে, মাত্র একদিনেই গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলছে ২২ গিগাটন বা ১০০ মেট্রিক টন । বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই পরিমান জল শুধু একটা অঞ্চল নয়, ঢেকে দিতে পারে একটা গোটা দেশকে। প্রবল ক্ষতি হয়ওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফ্লোরিডার। এইভাবে বরফ গলতে থাকলে ফ্লোরিডা অন্তত ২ ইঞ্চি জলের তলায় চলে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন ।শুধুমাত্র যে ফ্লোরিডা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়, এই হারে জলস্তর বাড়তে থাকলে ভারত সহ বিশ্বের সবকটি দেশও কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ।

বরফ গলনের পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বারা তোলা যে চিত্র সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে বরফের চাদরের তলা থেকে বেরিয়ে আসছে মাটি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে সেই সমস্ত জায়গার বরফ বেশ ভালো মাত্রাতেই গলছে । এই বিষয়টি কোনোভাবেই পরিবেশের পক্ষে খুব একটা ভাল নয় কারণ আন্টার্টিকা এবং গ্রীনল্যান্ডের বরফ যদি গলে তাহলে বিশ্বের একটা বিরাট অংশ জলের তলায় চলে যেতে পারে। এই তালিকায় অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ভারত, কারণ ভারতের তিনদিকটাই সমুদ্র দিয়ে ঘেরা।

বেলজিয়ামের লিয়েজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেভিয়ার ফিটাউস জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ১২ গিগাটন বরফ সমুদ্রে গলে গেছে। বাকিটা অবশ্য এখনও তুষারপাতের আকারে জমাট বেঁধে রয়েছে। ডেনমার্কের জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বুধবার এই সমস্ত জায়গার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই উপরের দিকে চলে গিয়েছিল । তার ফলস্বরূপ এই বরফ গলন। তাপমাত্রা যদি না কমে তাহলে আগামী দিনে এই বরফ গলন আরো ক্ষতিকর হতে চলেছে সারা বিশ্বের জন্য।