সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গ্রাম পঞ্চায়েত কা’জ করছে না, “আমার হা’তে ছেড়ে দিন আমি একাই সা’ম’লে নে’বো”, বললেন চন্দনা বাউড়ি

একুশে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফ থেকে দরিদ্রতম প্রার্থী ছিলেন চন্দনা বাউরী। একদিকে বিজেপির হেভিওয়েট নেতা যখন একে একে বিরোধী পক্ষের কাছে পরাজয় স্বীকার করে নিচ্ছে তখন চন্দনা বাউরীকে ভোটবাক্সে দলের সমর্থন দিয়েছেন তার বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষেরা। বিধায়ক হওয়ার পরপরই তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি তার বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষদের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন।

বিধায়ক হিসেবে যেতেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। কথা রেখেছেন চন্দনা বাউরী। গত দেড়মাসে তিনি তার বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দুঃস্থ মানুষদের ত্রাণ বিলি করেছেন। তার বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বকেয়া টাকা কবে ঢুকবে সেটা জানতে স্থানীয় পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন চন্দনা।

https://www.facebook.com/watch/?v=331411415182868

তবে সেখান থেকে তাকে অবশ্য খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। এ পছন্দ না নিজের ফেসবুক একাউন্ট একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন, 2018 সাল থেকেই তাকে বারংবার ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় তিনি মাত্র ৬০ হাজার টাকা পেয়েছেন এ পর্যন্ত। টাকা দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গাফিলতি হচ্ছে বিডিও অফিসে। চন্দনার দাবি, বিডিও অফিস এবং পঞ্চায়েতে কাজের গাফিলতি হচ্ছে।

চন্দনা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ প্রায় 10 বছর ধরেই সাধারণ মানুষের টাকা এভাবে আটকে রাখা হয়েছে। যে কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারন গরিব মানুষদের। তিনি এই বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, পঞ্চায়েতে যখনই কেউ সমস্যা নিয়ে যাচ্ছেন, তাদের বলে দেওয়া হচ্ছে চন্দনার কাছে যেতে। চন্দনার দাবি, “সব যদি আমাকেই দেখতে হয়, তাহলে পঞ্চায়েতটাও আমার হাতেই ছেড়ে দেওয়া হোক”।