সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পিঠে গ’জে উঠেছে পাখনা, এটি পাখি না মাছ? মৎস্যজীবীর ভা’গ্য বদলে দিলো এটি

নদীনালা, খালবিলে প্রায়শই অদ্ভুত দর্শন বেশ কিছু প্রাণীর দেখা মেলে। বিশেষত সমুদ্রের সঙ্গে সংযোগ থাকা নদীতে প্রায় সময় সামুদ্রিক মাছ অথবা বিভিন্ন প্রাণী চলে আসে। এবার বাংলাদেশের একটি নদীতে অদ্ভুত দর্শন এক মাছের দেখা মিলেছে। সেটি আদতে মাছ নাকি পাখি, প্রথম দর্শনে বুঝে উঠতে পারছিলেন না মৎস্যজীবীরা।

প্রায় 9 ফুট লম্বা এই মাছটিকে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী থেকে ধরেছেন মৎস্যজীবীরা। এমন মাছের আগে এই অঞ্চলের মানুষের কখনো দেখেননি বলেই দাবি করছেন। মাছের পিঠে ছিল একেবারে পাখির ডানার মতো একটি বিশাল আকারের পাখনা। স্থানীয়ভাবে এমন মাছকে কেউ কেউ পাখি মাছ বলে থাকেন। কেউ আবার এটিকে গাং চ্যালা হিসেবেও উল্লেখ করে থাকেন।

 মাছটির পিঠে বিশাল আকারের পাখনা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে কেউ কেউ একে পাখি মাছও বলে থাকেন, আবার কেউ বলেন গাং চ্যালা। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি সামুদ্রিক মাছ। যেহেতু এর একটি বড় পাখনা রয়েছে এবং গা তেলতেলে সেহেতু এটিকে সেইল ফিশ বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এর যেহেতু একটি বড় পাখনা রয়েছে এবং এর গা যেহেতু তেলতেলে তাই অনেকেই এটিকে সেইল ফিশ বলে দাবি করছেন। সাধারণত সামুদ্রিক সেইলফিশ মাছের এমন বড় পাখনা থাকে। এই মাছ যখন মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে তখন তারা প্রথমে বুঝতেই পারেননি যে এই মাছটিকে বাজারে বিক্রি করা যাবে কিনা। তবে মাছটি বাজারে আনতে কার্যত উৎসুক গ্রাহকের ভিড় জমে যায়।

এই সামুদ্রিক মাছ 500 টাকা কেজি দরে মোট 23 হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন ওই মৎস্যজীবী। এই মাছ সাধারনত সমুদ্র থাকে। তবে কোনো কারণে সেটি নদীতে চলে এসেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরে সেইলফিশ দেখা যায়। যদিও আটলান্টিক সেইলফিশেরও আর একটি প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে। এই প্রাণীকে মহাসাগরের সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রাণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ঘন্টায় এই মাছ প্রায় 110 থেকে 130 কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে।