সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পৃথিবীর কা’ছে চলে এসেছিল মা’তা’ল ধূমকেতু, মহাকাশে ছ’ড়া’চ্ছে “অ্যা‌লকোহল”!

সৌরমণ্ডলে চক্কর কাটা ধূমকেতু ছড়াচ্ছে অ্যা‌লকোহল।জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সৌরমণ্ডলে চক্কর কেটে বেড়ানো 46P/Wirtanen ধূমকেতুকে ঘিরে বিস্ময়ের শেষ নেই। পৃথিবীর খুব কাছ ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়া ধূমকেতুটির শরীর থেকে ছড়িয়ে পড়ছে অ্যালকোহল;কার্যত এক মহাজাগতিক মদ্যপ যেন সেটি।

এর আগে এমন কোনও ধূমকেতুর সন্ধান মেলেনি; যার শরীরে এই পরিমাণে অ্যালকোহলের উপস্থিতি রয়েছে। আসলে ধূমকেতু যত সূর্যের কাছাকাছি আসে তত তার নিউক্লিয়াস উত্তপ্ত হয়। এরপর তার শরীরের বরফ গলতে শুরু করলে তা তরল না হয়েই গ্যাসে রূপান্তরিত হয়। এর ফলে যে ঘন গ্যাসীয় আকৃতি তৈরি হয়, তার নাম কোমা। পরে সূর্যের কাছে এলে সৌর বিকিরণে সেই কোমা থেকেই সৃষ্টি হয় ধূমকেতুর লেজ। ভিরটানেনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সৌর বিকিরণ ছাড়াও আরও এক অজানা কারণেও তার নিউক্লিয়াস উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

‘৪৬পি/ ভিরটানেন’ ধূমকেতুটির কথা ‘দ্য প্ল্যানেটারি সায়েন্স জার্নাল’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে জানা গিয়েছে । হাউইয়ের ডবলিউএম কেক অবজারভেটরির এক টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে সেটির গতিবিধি। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে সে।

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যার গবেষণাগারের ধূমকেতু বিশারদ নিল ডে‌লো রুসো তিনি জানিয়েছেন, ‘‘এপর্যন্ত যতগুলি ধূমকেতুর কথা আমরা জানতে পেরেছি, তাদের মধ্যে এই ধূমকেতুতেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে অ্যালকোহলের সন্ধান মিলেছে। যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, সৌরমণ্ডল সৃষ্টির সময় যখন এই ধূমকেতুটির জন্ম হয়েছিল তখন কীভাবে কার্বন, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণুগুলি ছড়িয়ে পড়েছিল।”