একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শ্রীলেখা মিত্র বামেদের হয়ে প্রচুর খাটাখাটনি করেছিলেন। রক্তদান শিবির থেকে শুরু করে সামাজিক ক্যান্টিন এমনকি প্রচার সভা কোনো কিছুই বাদ দেননি আজীবন সিপিএম সমর্থক শ্রীলেখা মিত্র। তবে হালফিলের একটি ঘটনা নিয়ে কার্যত শ্রীলেখা মিত্র এবং সিপিএমের সম্পর্কের চিড় ধরার আভাস পাচ্ছেন নেটিজেনরা। এদিকে রাজ্য শাসকদলের তরফের জনৈক সমর্থক সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি শ্রীলেখাকে তৃণমূল শিবির আমন্ত্রণ জানিয়ে বসেছেন।
এই ঘটনায় কার্যত শ্রীলেখা মিত্রের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়ছে। শাসক দলের ওই সমর্থক শ্রীলেখাকে সরাসরি প্রস্তাব দিয়েছেন, ‘সিপিএম আপনাকে কষ্ট দিয়েছে, আপনি তৃণমূলে চলে আসুন’। তবে শ্রীলেখা সেই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কিছু উঠতি বাম সমর্থকদের জন্য সিপিএমের প্রতি তার অনুভূতি বদলাবে না।
প্রসঙ্গত, শ্রীলেখার ডেট ফেরত শশাঙ্ক ভাভসরকে নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। শশাঙ্ক যে পথপশুর দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তাকে রক্ষা করতে পারেননি। শ্রীলেখার কানে এই খবর পৌঁছাতেই তিনি প্রকাশ্যে তাকে ভৎসনা করেন। শুধু তাই নয় তিনি রেড ভলেন্টিয়ার্সদের নাম জড়িয়ে ফেলেছিলেন এর সঙ্গে। এতে কার্যত চটেছেন সিপিএমের একাধিক সমর্থক।
শশাঙ্ককে রেড ভলেন্টিয়ার্সদের কলঙ্ক বলেছিলেন শ্রীলেখা। তারপরেই কার্যত শশাঙ্কের একাধিক সমর্থক শ্রীলেখার বিরুদ্ধে নেটমাধ্যমে কলম ধরেন। এমনই সব ঘটনার ফাঁকে শাসক দলের এক সমর্থক শ্রীলেখাকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন, শাসক দলে চিরঞ্জিৎ, শতাব্দী, দেব, নুসরত, মিমি, জুন, কাঞ্চন প্রমুখরা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে আছেন। সেই জায়গায় শ্রীলেখা সিপিএম দলের সমর্থক হয়ে শুধু কষ্ট আর যন্ত্রণাই পাচ্ছেন। এর পরেই তিনি শ্রীলেখাকে দলবদলের প্রস্তাব দেন। তবে শ্রীলেখা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।