গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে জানিয়ে দেন যে এবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ বছরের উর্ধ্বে যাদের বয়স, তাদের প্রত্যেককেই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবেন। শুধু তাই নয়, তিনি আরো জানিয়েছেন যে এবার থেকে রাজ্য সরকারকে আর ভ্যাকসিন কিনতে হবে না। মোট উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ৭৫ শতাংশ কিনবে কেন্দ্রীয় সরকার, বাকি ২৫ শতাংশ বেসরকারি সংস্থাগুলি কিনতে পারবে।
ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার জন্য অনেকেই বেসরকারি সংস্থা থেকে নগদের বিনিময়ে ভ্যাকসিন কিনছেন। এদিকে বাজারে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা টের পেয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলিও নিজেদের মতো করে ভ্যাকসিনের দাম মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য ভ্যাকসিনের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিলেন। এবার থেকে আর অতিরিক্ত লাভ করতে গিয়ে চড়া দামে ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে না বেসরকারি সংস্থাগুলি।
কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এবার থেকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজের সর্বোচ্চ দাম ৭৮০ টাকা ধার্য করতে পারবে বেসরকারি সংস্থাগুলি৷ তার থেকে বেশি নয়। কোভ্যাক্সিন এবং স্পুটনিকের সর্বোচ্চ দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪১০ টাকা এবং রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দাম ১১৪৫ টাকা ধার্য করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভ্যাকসিনের এই দামের মধ্যে ১৫০ টাকা করে সার্ভিস চার্জ এবং কর ধরা আছে। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, বেসরকারি সংস্থা গুলির এই নির্ধারিত দামের বেশি অর্থ গ্রাহকের থেকে নিতে পারবে না। যদি এর অন্যথা হয় তাহলে কড়া পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যেক রাজ্যের রাজ্য সরকারকে বিষয়টির উপর নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই নতুন নির্দেশিকার ফলে বেসরকারি সংস্থাগুলি এবার থেকে আর চড়া দামে ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে না।