সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গা’য়ে হলুদ লাগাতেই পেট ব্য’থা কনের, বি’য়ে’র আগের দিন সন্তান প্র’স’ব করলেন তরুণী

বিয়ে মানেই এলাহী আয়োজন। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সাজগোজ কোনো কিছু ই বাদ যায় না একটি বিয়ে বাড়িতে। বিয়ে মানেই চারিদিকে আলোর রোশনাই, প্যান্ডেলের ডেকরেশন, সানাই, জমিয়ে ভুরিভোজ। তবে অদ্ভুত ব্যাপার এই যে, ছত্তিসগড়ের কোন্ডাগাঁওয়ের এক বিয়ের মণ্ডপে সন্তান প্রসব করলেন কনে। সন্তান প্রসবের পর কিন্তু বিয়ে থেমে থাকেনি। বরং মহা ধুমধাম করেই সম্পন্ন হয়েছে বিবাহের অনুষ্ঠান। নিজের পুত্রবধুকে সসম্মানে ঘরেও তুলেছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

বিয়ে মানেই এলাহী আয়োজন। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সাজগোজ কোনো কিছু ই বাদ যায় না একটি বিয়ে বাড়িতে। বিয়ে মানেই চারিদিকে আলোর রোশনাই, প্যান্ডেলের ডেকরেশন, সানাই, জমিয়ে ভুরিভোজ। তবে অদ্ভুত ব্যাপার এই যে, ছত্তিসগড়ের কোন্ডাগাঁওয়ের এক বিয়ের মণ্ডপে সন্তান প্রসব করলেন কনে।

সন্তান প্রসবের পর কিন্তু বিয়ে থেমে থাকেনি। বরং মহা ধুমধাম করেই সম্পন্ন হয়েছে বিবাহের অনুষ্ঠান। নিজের পুত্রবধুকে সসম্মানে ঘরেও তুলেছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ছত্তিশগড় ও তার প্রতিবেশী ওড়িশা রাজ্যের সীমান্তবর্তী বদেরাজপুর ব্লকের বাঁশকোট গ্রামের বাসিন্দা চন্দম নেতাম নামে এক যুবকের বিবাহ ঠিক হয় ওড়িশার বাসিন্দা শিববতী নামে এক যুবতীর।

গত ৩১ জানুয়ারি বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্নের দিন ঠিক হয়। দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই বিয়ের সকল আচার অনুষ্ঠান পালন হচ্ছিল। জোর কদমে চলছিল বিয়ের প্রস্তুতিও। বিয়ে উপলক্ষে দুই পরিবারের উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। যেহেতু ৩১ জানুয়ারি মূল বিয়ের অনুষ্ঠান, তাই প্রচলিত নিয়ম অনুসারে ৩০ জানুয়ারি পাত্রপক্ষের বাড়ি থেকে পাঠানো হলুদ দিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছিল কনের বাড়িতে। ঠিক সেই সময়ে ঘটে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সূত্রের খবর, গায়ে হলুদের মণ্ডপে পাত্রী শিববতী হঠাৎ পেটে প্রচণ্ড ব্যথায় ছটফট করতে থাকেন।

আরো পড়ুন: দুই স্বামীকে নি’য়ে সুখেই ছিলেন যুবতী! হাতেনাতে ধ’রে ফে’ল’লো এলাকাবাসী, কিন্তু এরপর?

তৎক্ষণাৎ পাত্রীর বাড়ির লোক তাকে গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। আর ওখানেই ফুটফুটে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন শিববতী। ভাবী পুত্রবধূর সন্তানপ্রসবের কথা কি আর চাপা থাকে! মুহূর্তের মধ্যে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রাম সহ তার শ্বশুরবাড়িতে। এরপর তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেই সুখবরে খুশি হয়ে নিজের ভাবী পুত্রবধুকে আশীর্বাদ করতে ছুটে আসেন।

এ প্রসঙ্গে পাত্র চন্দন নেতামের বাবা ছেদিলাল নেতাম সাফ জানান, ‘‘পুত্রবধূর পুত্রসন্তান হওয়ায় ঘরে বিয়ের আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়েছে।’’ পাত্র চন্দনের মা সরিতা মাণ্ডবী জানিয়েছেন, “আজও ওই এলাকার আদিবাসীদের মধ্যে পৃথু প্রথার চল আছে।

আরো পড়ুন: হাতির বি’ষ্ঠা তাদের বা’নি’য়ে দি’লো কোটিপতি ব্যবসায়ী, এখন বিদেশেও ছড়িয়েছে সেই বিজনেস

এই প্রথার নিয়ম মেনেই গত বছর জন্মাষ্টমীতে শিববতী প্রথম আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করেছিল। বিয়ের আগে শ্বশুরবাড়িতে ছ’মাস অতিবাহিত করার পর নিজের বাড়িতে ফিরে যায় পাত্রী। তারপর বিবাহের দিন ঠিক হয়। সেই মতো যাবতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল।” পুত্রবধূর সঙ্গে আদরের নাতিকে পেয়ে শিববতীর শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা খুবই আনন্দিত। সন্তান প্রসবের পর নিজের পুত্রসন্তানকে নিয়ে বিয়ের সব নিয়ম পালন করেন শিববতী। মহা ধুমধামে চন্দন ও শিববতীর বিবাহ সম্পন্ন হয়।