সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ডুয়ার্সের পাহাড়ি ঘেঁ’ষা জঙ্গলে কালো চিতা, ট্র্যা’প ক্যামেরায় বি’র’ল পো’জ দিলো এই বন্যজন্তু

কিছুদিন আগেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে মহাকাল পাহাড়ে দেখা মিলেছিল কালোচিতার। এবার ফের ডুয়ার্সের বক্সা ব‍্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বনবিভাগের তরফে বসানো ট্র্যাপ ক্যামেরায় বিলুপ্তপ্রায় ব্ল্যাক প্যান্থারের গতিবিধি নজরে পড়লো।

বক্সার জনমানবহীন ঘন জঙ্গলে ব্ল্যাক প্যান্থারের বসতি রয়েছে বলেই মনে করছেন বন বিভাগের আধিকারিকেরা। সেই 2020 সাল থেকেই বেশ কয়েকবার জঙ্গলে তাদের গতিবিধি টের পাওয়া যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের পাঁচটি সংরক্ষিত জঙ্গল মহানন্দা অভয়ারণ্য, নেওড়াভ্যালি, গরুমারা, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানেও মাঝেমধ্যে কালোচিতার দেখা মেলে।

ভারতবর্ষের কালো চিতা কার্যত বিরল প্রাণী। এমনিতে এই প্রাণীটি চিতা হলেও জিনগত কারণে এর গায়ের রং কালো। সাধারণ চিতাবাঘের তুলনায় অনেক বেশি হিংস্র। দিনের আলোতে এদের অত্যন্ত কম দেখা যায়। রাতের অন্ধকারে এরা বেশ সক্রিয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে এই চিতাবাঘ অত্যন্ত বিড়াল তবে মাঝেমধ্যেই এদের দেখা মিলছে।

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা প্রভীন কাশওয়ান জানাচ্ছেন, বর্ষার পরে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়। বর্ষার শেষে ভুটানের দিক থেকে শিকারের উদ্দেশ্যে বক্সার অরণ্যে নেমে আসে ব্ল্যাক প্যান্থারগুলি। ডুয়ার্সের জীব বৈচিত্রের কারণেই গত বছর থেকেই ব্ল্যাক প্যানথারের আনাগোনা বাড়ছে বলে মনে করছেন বন দফতরের কর্মীরা।