চলতি বছরের সবথেকে বড় খবর হলো, আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবান। দীর্ঘ কুড়ি বছর মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান দখল করেছিল বলে তালিবান জঙ্গিরা সেইভাবে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারেনি। মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান থেকে সরে যাবার পরেই নিজের আসল রূপ নিয়ে বেরিয়ে আসে তালিবান জঙ্গিরা।
আমরা সকলেই জানি জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হিসাবে পাকিস্তানের নাম বিশ্বের দরবারে বারবার উঠে এসেছে। যতই নিজেদের শান্তির দূত হিসেবে দাবি করুক না কেন পাকিস্তান, বিশ্বের ইতিহাসে যতবার জঙ্গি হানা হয়েছে, তার পিছনে পাকিস্তানের হাত পরোক্ষ অথবা প্রত্যক্ষভাবে ছিল।
According to @P_Musharraf “Pakistan gave birth to the Taliban to counter Indian action against it.” @ImranKhanPTI believes the Taliban have "broken the shackles of slavery." @SMQureshiPTI & @YusufMoeed are currently busy lobbying the world to engage with the Taliban. 3/7
— Mahmoud Saikal (@MahmoudSaikal) August 28, 2021
তবে এবার আফগানিস্তানের প্রাক্তন রাজদুত মাহমুদ শাকিল পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়ে পাকিস্তানকে তালিবানের জন্মদাতা বলে দাবি করেছেন। প্রাক্তন পাকিস্তানি রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফের প্রসঙ্গ টেনে প্রাক্তন আফগান রাজদূত বলে ওঠেন, ভারতকে আটকানোর জন্যই পাকিস্তান তালিবানের জন্ম দিয়েছিল।
Almost all foreign members of ISIL-K and Al-Qaida have entered Afghanistan via Pakistan. Their leaders & that of the Taliban have been living (some dying/killed) in Pakistan. UN report https://t.co/DyLEt661Lv establishes the symbiotic ties between ISIL-K, Taliban & Al-Qaida. 1/7
— Mahmoud Saikal (@MahmoudSaikal) August 28, 2021
শনিবার মাহমুদ শ্যকল টুইট করে বলেন, পারভেজ মুশারফ অনুযায়ী পাকিস্তান ভারতকে আটকানোর জন্য তালিবানকে জন্ম দিয়েছিল। অন্যদিকে ইমরান খানের মতে, তালিবান পরাধীনতার শিকল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্যাকল ম্যাট বাল্ডম্যান কেয়ার সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস পলিসি কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্ট, হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে তৈরি করার পেপারের কথা উল্লেখ করেন। সেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই আর তালিবানের সম্পর্ককে ‘দ্য ম্যান ইন দ্য স্কাই” শিরোনাম দেওয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র চাপযুক্ত নীতি এবং শর্তাধীন সম্পর্ক একটি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। তবে আমেরিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিবান এবং আল-কায়েদার মধ্যে গভীর ভাবে সম্পর্ক রয়েছে।